শিনজো আবের মৃত্যু : ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করছেন পুলিশ প্রধান
Share on:
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেশটির পুলিশ প্রধান পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই বন্দুকধারীর গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার পর মারা যান আবে। দেশটির নারা শহরে নির্বাচনী প্রচারণার অনুষ্ঠানে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। জাপানের মতো দেশে এমন ঘটনা সে সময় পুরো বিশ্বকে হতবাক করেছে। খবর ব্লুমবার্গ, বিবিসি।
এদিকে দেশটির জাতীয় পুলিশ এজেন্সির প্রধান ইতারু নাকামুরা জানিয়েছেন, শিনজো আবের মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তার ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে চান তিনি।
একটি তদন্তে দেখা গেছে, শিনজো আবের নিরাপত্তায় গুরুতর ত্রুটি ছিল। নির্বাচনী প্রচারণায় আবে যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন ৪১ বছর বয়সী বন্দুকধারী আবের পেছনে ছিলেন। সেখান থেকেই তাকে গুলি করতে সক্ষম হন ওই বন্দুকধারী।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৬৭ বছর বয়সী আবে দুই বুলেটের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তার ঘাড় এবং হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় পুলিশ ইতোমধ্যেই আবের নিরাপত্তায় ত্রুটির কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ প্রধান ইতারু নাকামুরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। আমরা বুঝতে পেরেছি যে আমাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি রয়েছে। সে সময়ই তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
দীর্ঘ মেয়াদে ২০২০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের অর্থনীতিকে আমূল বদলে দিয়েছেন শিনজো আবে। দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
২০০৬ থেকে ২০০৭ এবং এরপর ২০১২ থেকে টানা ২০২০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। তার দুই মেয়াদে অর্থনৈতিক স্থবিরতা থেকে রক্ষা পায় জাপান।
আবের মৃত্যুর পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় হামলাকারী যুবকের নাম তেতসুয়া ইয়ামাগামি। ৪১ বছর বয়সী তেতসুয়া জাপানের সামুদ্রিক আত্মরক্ষা বাহিনীর সাবেক সদস্য ছিলেন। তেতসুয়া ইয়ামাগামি বিশ্বাস করতেন, তার মায়ের ঋণখেলাপির জন্য আবে দায়ী।
এ কারণে কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনা করে আবের ওপর হামলা চালান তিনি। গুলি চালানোর পর তিনি একেবারেই নির্বিকার ছিলেন। সে সময় তিনি পালানোর কোনো চেষ্টাও করেননি।
এইচএন