উড়তে থাকা ভারত ২৪০ রানে অলআউট
Share on:
মিডেল ওভারে অজি বোলারদের তোপে বেশিদূর যেতে পারেনি স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত লোকেশ রাহুলের ধীরগতির ৬৬ রানে ভর করে ৫০ ওভারে ২৪০ রানে থামে রোহিত শর্মার দল।
একদিনের ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ঘরে তোলার লড়াইয়ে মাঠে নেমেছে আসরের সেরা দুই দল। বিশ্বমঞ্চে এই মহারণে টানা দশ ম্যাচ জয়ের
আত্মবিশ্বাস নিয়ে উড়তে থাকা ভারতের প্রতিপক্ষ পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ব্যাট হাতে রোহিত-গিল শুরুটা ভালো করলেও হঠাৎ পাওয়ার প্লে শেষে খেই হারায় ভারত।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আজ ভারতের হয়ে সূচনাটা ভালোই করেছিলেন ওপেনার এবং অধিনায়ক রোহিত। স্ট্রাইকার প্রান্ত থেকে তিনি চড়াও হতে শুরু করেছিলেন অজি বোলারদের উপর।
ফলে দ্রুত রান উঠতে শুরু করেছিল ভারতের স্কোরবোর্ডে। তবে রান তলার এ ধারায় বাঁধা পড়ে গিল আউট হলে।
চতুর্থ ওভারে স্টার্কের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে অ্যাডাম জাম্পার মুঠোবন্দী হন গিল। ফলে ৭ বলে মাত্র ৪ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এরপর ক্রিজে রোহিতের সঙ্গী হন বিরাট কোহলি।
এ দুজন মিলে দ্রুতই সফল একটি জুটির দিকে এগোচ্ছিলেন। রোহিতের মারকুটে ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৩২ বলেই স্কোরবোর্ডে ওঠে ৪৬ রান। তবে এরপরই আবারো আঘাত হানে অস্ট্রেলিয়া।
দশম ওভারে ম্যাক্সওয়েলের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ট্রাভিস হেডের ক্যাচে পরিণত হন রোহিত। ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ৩ রান দূরে থাকতেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে ৪ চার আর ৩ ছয়ে করেছেন ৪৭ রান। অধিনায়ক ফেরার ক্রিজে আসেন শ্রেয়াস আইয়্যার।
তবে সবশেষ দি ম্যাচেই শতক হাঁকানো আইয়্যারও আজ দলের হাল ধরতে পারেননি। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই তিনিও ফিরে যান কট বিহাইন্ড হয়ে।
অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বলে উইকেটরক্ষক জশ ইংলিশের গ্লাভসবন্দী হয়ে ৪ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় তাকে।
এরপর চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে নামা লোকেশ রাহুলকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামল দিয়ে এগোতে থাকেন কোহলি। ইনিংসের ২৬তম ওভারে নিজের অর্ধশতক পূরণ করে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখতে থাকেন বিরাট।
তবে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বলে ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন কোহলি।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে রাহুলের সঙ্গে ৩০ রানে জুটি গড়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অলরাউন্ডার জাদেজা। তবে জস হ্যাজেলউডের বলে ৩৬তম ওভারে জস ইংলিসের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। দলীয় ১৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ভারত।
তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে লোকেশ রাহুল সঙ্গী হিসেবে পান সূর্যকুমার যাদবকে। তবে পুরো ইনিংস জুড়ে ধীর গতিতে খেলা রাহুল ৪২তম ওভারে এসে মিচেল স্টার্কের কাছে পরাস্ত হন রাহুল। ১০৭ বলে ৬৬ রান করে দলকে বিপাকে রেখে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
শেষ দিকে অজি বোলারদের তোপে পড়ে ভারতীয় ব্যাটাররা। রাহুলের ফিরে যাওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে সাজঘরে ফিরেন মোহাম্মদ শামি ও জাস্প্রিত বুমরাহ। দলীয় ২১৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দ্রুত অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে স্বাগতিকরা।
সূর্যকুমার যাদব ও কুলদীপ যাদব মিলে শেষ দিকে আশা জাগানোর মতো কিছুই করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। অজিদের সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন স্টার্ক।