tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জীবনযাপন প্রকাশনার সময়: ২৯ মার্চ ২০২৩, ২১:৩৫ পিএম

বিভিন্ন দেশের ইফতারের খাদ্যাভ্যাস


020

ইসলাম ধর্মে রমজান মাস একটি মর্যাদাপূর্ণ মাস। বছরজুড়ে এ মাসের অপেক্ষায় থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। হিজরিবর্ষের নবম মাস রমজান। এ মাস ঈমানদারদের জন্য অনেক বড় নিয়ামত।


এ মাসে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান রোজা পালন করা হয়। পুরো বিশ্বের মুসলমানরা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজা রাখেন। আর বছর ঘুরে ফিরে এসেছে সেই মাহে রহজান।

রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত এবং শেষ ১০ দিন নাজাতের।

রোজার নিয়ম সব দেশের মুসলমানদের জন্য একই রকম হলেও দেশ অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস একেক রকম। সারাদিন রোজা থাকার পর রোজাদারেরা চেষ্টা করেন সুস্বাদু এবং বৈচিত্রময় খাবার খেতে।

আসুন জেনে নেই ইফতারে কোন দেশের মানুষেরা কী খান?

১. বাংলাদেশ: ইফতারে বাংলাদেশের মানুষেরা সাধারণ খেজুর, পিঁয়াজু, বেগুনি, হালিম, আলুর চপ, জিলাপি, শরবত, মুড়ি ও ছোলা খেয়ে থাকেন। এছাড়া মসলা দিয়ে তৈরি কাবাবের সঙ্গে পরোটা, মিষ্টি, ফল, খিচুড়ি, ও চিড়া খেয়ে থাকেন।

২. সৌদি আরব: ইফতারে খেজুর দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন সৌদি আরবের মানুষ। এছাড়া কুনাফা, ত্রোম্বা, বাছবুচান্ডর নামক নানা রকম হালুয়া, সালাতা (সালাদ), সরবা (স্যুপ), জাবাদি (দই), লাবান, খবুজ (ভারী ছোট রুটি) বা তমিজ (বড় রুটি) তাদের ইফতারের মেন্যুতে থাকে।

৩. দুবাই: দুবাইয়ে রোজাদাররা ইফতারে বিভিন্ন রকমের মুখরোচক খাবার যেমন-রুটি, মাংসের চপ (যা ভেড়ার মাংস দিয়ে তৈরি- স্থানীয় ভাষায় ওউজি), মসুর ডালের স্যুপ ও সালাদ খেয়ে থাকেন।

৪. মিসর: মিসরের ইফতারিতে প্রধান মেন্যু কুনাফা ও কাতায়েফ। এছাড়া আটা, চিনি, মধু ও বাদাম দিয়ে তৈরি খাবার বেশি খাওয়া হয়।

৫. ইরান: ইরানের ইফতারে থাকে চায়ে (চা), লেভাস বা বারবারি নামের এক ধরনের রুটি, পনির, তাজা ভেষজ উদ্ভিদ, মিষ্টি, খেজুর ও হালুয়া।

৬. মস্কো: দেশটিতে ইফতারে খেজুর, স্যুপ, রুটি ও বিভিন্ন স্থানীয় খাবারের আয়োজন থাকে।

৭. সিরিয়া: সিরিয়া ইাফতারে সবচেয়ে প্রিয় খাবার হচ্ছে হালুয়া। দেশটিতে হালুয়া যে কত নকশার হতে পারে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। এছাড়া ইফতারের পর দিজাজ সয়াইয়া, খবুজ, সরবা খান তারা।

৮. পাকিস্তান: খেজুর, পানি , চিকেন রোল, স্প্রিং রোল, শামি কাবাব এবং ফলের সালাদের পাশাপাশি মিষ্টি ও ঝালজাতীয় খাদ্য, জিলাপি ও সমুচা, নিমকি।

৯. ভারত: খেজুর, হালিম ও নাড়ু দিয়ে ইফতার করে ভারতে। এছাড়া ভাত, খাসির মাংস, সবজি ও মসলা দিয়ে তৈরি হয় রকমারি খাবার। পাশাপাশি থাকে বন্ডা, পাকুড়া।

১০. ব্রিটেন: খেজুর, ফল, স্যুপ, জুস, রুটি, ডিম, মাংস, চা-কফি দিয়ে ইফতার করেন ব্রিটিশ রোজাদাররা।

১১. ইতালি: বার্গারজাতীয় খাদ্য, মাল্টা, আপেল, আঙুর, বিভিন্ন ফলের রস ইত্যাদি দিয়ে ইফতার করেন তারা।

১২. তুরস্ক: বিশেষ ধরনের কাবাব ও নানা রকম শরবতের ব্যবহার বেশ পুরনো।

১৩. আমেরিকা: খেজুর, খুরমা, সালাদ, পনির, রুটি, ডিম, মাংস, ইয়োগার্ট, হট বিনস, স্যুপ, চা ইত্যাদি।

১৪. অস্ট্রেলিয়া: স্যান্ডউইচ, পনির, মাখন, দুগ্ধজাতীয় খাবার, নানাবিধ ফল ও ফলের রস খাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার ইফতারিতে।

১৫. দক্ষিণ কোরিয়া: এখানকার মুসলমানরা নুডলস, স্যুপ, ফলের রস, বিভিন্ন প্রকারের ফলফলাদি খেয়ে থাকেন।

১৬. পর্তুগাল: পাস্টার দি নাতা (এক প্রকার কেক) ও সারডিন মাছের কোপ্তা বেশ পছন্দ করেন তারা। এ ছাড়া রয়েছে প্রেগোরোজ, ট্রিনচেডো, প্রাউজ (চিংড়ি), স্প্রিং গ্রিল ও স্যুপ।

১৭. জাপান: এ দেশের মুসলমানদের ইফতারি আইটেমে রয়েছে জুস, স্যুপ ও মাশি মালফুফ যা আঙুর, বাঁধাকপির পাতা ও চাল মিশিয়ে বানানো হয়।

১৮. মালয়েশিয়া: আখের রস ও সয়াবিন মিল্ক খান, যাকে তাদের ভাষায় বারবুকা পুয়াসা বলা হয়। এছাড়া রয়েছে স্থানীয় খাবারের মধ্যে লেমাক লাঞ্জা, আয়াম পেরিক, নাসি আয়াম, পপিয়া বানাস ও অন্যান্য খাবার।

১৯. স্পেন: হালাল শরমা, ডোনার কাবাব, হামাস (যা তৈরি করা হয় ছোলা, তিল, জলপাই তেল, লেবু, রসুন ইত্যাদি দিয়ে। এটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের খাবার), লাম্ব কোফতা, আলা তুরকা, পাইন অ্যাপেল, টমেটো সালাদ।

এন