রূপপুরে এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন
Share on:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৩৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিদ্যুৎখাতে সক্ষমতা বাড়াতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটি মূল প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় টেলিযোগাযোগ সুবিধা দেওয়া এবং আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সুবিধা সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ বিবেচনায় প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
বিটিসিএল অক্টোবর ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প এলাকা পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা (রূপপুর), ঢাকা এবং বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অত্যাধুনিক ও উচ্চগতির ডেডিকেটেড এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অব সাইট ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় আধুনিক টেলিফোন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়া, জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাবিষয়ক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।
প্রধান কার্যক্রমগুলো:
৩৭০ কিলোমিটার রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ, আট বছরের অগ্রিম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, অপটিক্যাল ফাইবার লিজ (রেলওয়ে, পিজিসিবি, বিটিসিএল, স্যাটেলাইট চ্যানেল লিজ) সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, স্থানীয় ও বৈদেশিক পরামর্শক সেবা ক্রয়। এছাড়া টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম ক্রয়, বৈদেশিক ও স্থানীয় প্রশিক্ষণ এবং আটটি মোটরযান ভাড়া ও ৩টি মোটরযান কেনা হবে। প্রকল্পটি এরই মধ্যে একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি অনুমোদনের পর সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্পটি মূল প্রকল্পের সহযোগী প্রকল্প হিসেবে দেশের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিটিসিএল সম্পূর্ণ সরকারের নিজস্ব তহবিলে (জিওবি) বাস্তবায়ন করবে প্রকল্পটি। রূপপুরে দেশের সব থেকে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করতে হবে। তার ধারাবাহিকতায় ৩৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে একনেক সভা অনুমোদন করেছে।
এমআই