‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না’
Share on:
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানলে এবং সব রাজবন্দির মুক্তি না দিলে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটানো হবে।
শনিবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর বিজয় নগর পানির ট্যাংকের পাশে এক অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এ মন্তব্য করেন। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
জোটের নেতারা বলেন, ‘আজকে সরকারের কবল থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে রোজার মাসেও রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। কারণ এই সরকারের আমলে সাধারণ মানুষ ঠিকমতো রোজা রাখতে পারছে না। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষ ভালোমন্দ খেতে পারছে না, পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই এদের পতন ঘটানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘কিন্তু সেই সু্যোগ দেশের মানুষ আর দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’
জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘এই সরকার মানুষের বাক স্বাধীনতা ও বেঁচে থাকার অধিকার ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসন করছে। আমরা জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই রাজপথে নেমেছি। জনগণের গণঅভ্যুত্থানে সরকার পদত্যাগ করতে ও নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হবে।’
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, ‘এই সরকারের অনিয়ম দুর্নীতি প্রকাশ করা যায় না। কিছু লিখলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিচ্ছে। প্রথম আলোর সাংবাদিককে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার আজও হয়নি। আসুন এই লুটেরা ও নিপীড়ক সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলি। যাতে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।’
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান বাংলাদেশ কারি আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল গণি, মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা মাওলানা মহিউদ্দীন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) নেতা জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) নেতা আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
এমআই