রোজার পূর্ব প্রস্তুতি
Share on:
মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস রমজান। এ মাস বছরের অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা। সারাদিন পানাহার বিরতির মধ্যে অতিরিক্ত কাজের চাপ থ্কলে ইবাদাতেও বিঘ্ন ঘটতে পারে।
কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই মাসজুড়ে চাপমুক্ত থাকা যায়।
কৌশলগুলো জেনে নিন-
বাজার করা : রমজানের জন্য বাজারটা করে রাখতে হবে আগেই। রোজা রেখে ক্লান্তি লাগা স্বাভাবিক। এ সময় বেশি কাজও করা সম্ভব হয় না। তাই আগেই বাজার করে রাখলে রোজার সময় কষ্ট করতে হবে না। রমজানে খাবারগুলোর একটি তালিকা করে সেই অনুযায়ী বাজার করে ফেলুন। এতে কষ্ট কম ও সময় বাঁচবে। তবে অতিরিক্ত কেনাকাটা যেন না হয়।
গুছিয়ে রাখা : বাজার শেষ হলে গুছিয়ে রাখার পালা। প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখুন, যাতে সময় মতো হাতের কাছে পাওয়া যায়। এলোমেলো থাকলে থুঁজে বের করতে আপনারই কষ্ট হবে। তাই বাজার গুছিয়ে রাখাও জরুরি। যে জিনিস গুলো দ্রুত নষ্ট হতে পারে, সেগুলোও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন।
পরিষ্কার করা : সুস্থতার জন্য পরিচ্ছন্নতা জরুরি। রোজা রেখে বাড়ি-ঘর, কাপড় পরিষ্কার করতে কষ্ট হতে পারে। তাই আগেই কাজগুলো সেরে নিন। যেগুলো রোজার মাসে বেশি প্রয়োজন হবে, সেগুলো পরিষ্কার করে রাখুন। পরিষ্কার থাকলে আপনার মনও সতেজ থাকবে। এতে ইবাদাতে মন দেওয়াও সহজ হবে।
কাজ এগিয়ে রাখা : ইফতারের কিছু কাজ আগেই এগিয়ে রাখতে পারেন। ইফতারে খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ফ্রোজেন আইটেম তৈরি করে রাখতে পারেন। শরবতের জন্য সিরাপ তৈরি করে রাখতে পারেন। এতে ইফতারের সময় তাড়াহুড়ো করতে হবে না। এতে খুব সহজে সব কাজ শেষ করতে পারবেন। রমজানেও আপনি থাকতে পারবেন চাপমুক্ত।
শিশুর জন্য : শিশুদের রোজা রাখার বাধ্য-বাধকতা নেই। তাই রমজান মাসে শিশুর খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয়। এ সময় শিশুর খাবারের প্রতি উদাসীন হবেন না। এতে সে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তাই শিশু খাবার আগেই গুছিয়ে রাখতে পারেন। এতে রোজায় আপনাকে ধকল কম সামলাতে হবে।
এন