tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ১৮ জুলাই ২০২৩, ১৮:২০ পিএম

রংপুরে তিন দফা দাবি আদায়ে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বিরতির ঘোষণা


3

জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংক লরির ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর করা ও জ্বালানী তেল (ডিজেল, পেট্রোল/অকটেন) বিক্রয়ের উপর প্রচলিত কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন রংপুর বিভাগের পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্টিবিউটরস, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন।


অন্যথায় আগামী ১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সোহরাব টিটু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- এসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি আজিজুল ইসলাম মিন্টু , দিনাজপুরের সভাপতি রফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এটিএম হাবিবুর রহমান, বিভাগীয় দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ, রংপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ শহীদ শোভন, রংপুর মটর মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সোহরাব টিটু বলেন, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা হরতাল, অবরোধ, জরুরি অবস্থা, অসহযোগ আন্দোলন ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্যাংক লরির মাধ্যমে তেল পরিবহনপূর্বক নিরবিচ্ছিন্নভাবে তেল সরবরাহের মাধ্যমে যোগাযোগ ও কৃষি উৎপাদনে দীর্ঘদিন যাবত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

এছাড়া করোনাকালীন সময়ে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে নিরবিচ্ছিন্নভাবে তেল সরবরাহ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখায় খাদ্য উৎপাদন উল্লেখ্যযোগ্য হারে বেড়েছিল।

তিনি আরও বলেন, একমাত্র জ্বালানি তেল ক্রয় এবং বিক্রয় সরকার নির্ধারিত অভিন্ন মূল্যে হয়ে থাকে। জ্বালানি তেল বিক্রয়ের উপর সরকার নির্ধারিত হারে কমিশন প্রদান করে থাকে। ফলে ফিলিং স্টেশনের আয় বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই। জ্বালানি ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্ধারিত মূল্যে জ্বালানি তেল ক্রয়পূর্বক সরকারি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করে স্বল্প কমিশন পেয়ে থাকে। ফলে জ্বালানি ব্যবসায়ীরা শতভাগ কমিশন এজেন্ট। তাই জ্বালানি তেল বিপণন কাজে নিয়োজিতদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানকল্পে গেজেটের মাধ্যমে জ্বালানি ব্যবসায়ীদের অবস্থান/মর্যাদা কমিশন এজেন্ট ঘোঘণার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে দ্বৈত লাইসেন্সসহ বিভিন্ন আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা এড়ানো সম্ভব। এটা হলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর কর্তৃক ফিলিং স্টেশন সংক্রান্ত এসআরও এককভাব জারির প্রবণতা হ্রাস পাবে। এ সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব বিপিসি বা জ্বালানী কোম্পানি বহন করবে।

মোস্তফা সোহরাব টিটু বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রয়ের উপর ডিলার্স কমিশন বৃদ্ধির দাবি জ্বালানি ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি-সংশ্লিষ্টজন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি বারবার দিলেও তা এখনও বাস্তবায়ন করা হয় নাই।

এছাড়াও তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পর থেকে তেল বিক্রয় অর্ধেকে নেমে গেছে। ফলে আয়ও কমে গেছে কারণ বিক্রয়ের উপরই আমাদের কমিশন নির্ভরশীল।

জ্বালানি ব্যবসায়ীরা আশাহত হয়ে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন। দীর্ঘদিনের পূঞ্জীভূত এ সমস্যা ও সংকটের আবর্ত হতে বের হয়ে আসার জন্য জ্বালানি তেলের মূল্যহ্রাস/বৃদ্ধির সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট স্থায়ী ফয়সালার জন্য জ্বালানি তেল বিক্রয়ের উপর ডিলার্স কমিশন ৭.৫ শতাংশ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এন