ভিসানীতি নিয়ে যা হচ্ছে সবই অতিরঞ্জিত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Share on:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির অন্তর্ভুক্তদের তালিকা আমরা পাইনি।
তারা যাদের ভিসা দেবে না এমন কোনো নামও আমাদের কাছে আসেনি।ভিসানীতি নিয়ে যা হচ্ছে সেগুলো মনে হয় সবই অতিরঞ্জিত, এগুলো সত্যি ঘটনা নয়।
সোমবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে অনেক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি আছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে? এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এ ধরনের সংবাদ নেই। আমরা শুনেছি, তবে আমাদের কাছে প্রমাণ আসেনি। আমরা তো শুনি সবারই বাড়ি আছে... অনেকেরই আছে। ব্যবসায়ীদের আছে, সাংবাদিক ভাইদেরও আছে। শুনছি পুলিশেরও থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র তো অনেকের কাছে যাওয়ার জায়গা, বাসস্থানের জায়গা। সেজন্য হয়ত অনেকে গেছেন, বাড়ি করেছেন। সেই দেশের আইন মেনে যদি তারা করতে পারেন, সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি কিনতে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। এ অর্থের উৎস কী হতে পারে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে বিষয়ে তারা জবাব দেবে। সরকার জবাব দেবে না। তারা সেই দেশের সরকারকে জানান দেবে। আমাদের দেশ থেকে অর্থ যদি নিয়ে যায়, তখন আমরা বিষয়টি দেখব।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কী আন্ডারওয়ার্ল্ড সক্রিয় হচ্ছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কারা আন্ডারওয়ার্ল্ড তৈরি করেছিল, বাংলা ভাইয়ের জন্মদাতা কারা, কারা হাত-পায়ের রগ কেটে মেধাবী ছাত্রদের হত্যা করেছিল... সেগুলো আপনারা সবাই জানেন। তারা যদি বিশ্বাস করে সে ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে এ দেশের সরকারকে বিব্রত করবে, তবে সেটি তাদের ভুল ধারণা। এদেশের সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে চলে। জনগণ যতক্ষণ সরকারের পক্ষে থাকবে, ততক্ষণ এ ধরনের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে কেউ সুবিধা পাবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। কাজেই সেখানে আমাদের আর কিছু করণীয় নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার ছোট ভাই যে আবেদন করেছিলেন সেখা বলা হয়েছে, তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন। আমরা সে আবেদন পাওয়ার পরপরই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি তাদের মতামতের জন্য। কারণ এ বিষয়ে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।
তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত দিয়ে আবেদনটি আবার আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত খালেদা জিয়ার পক্ষে আসেনি। তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। কাজেই এখন আমাদের আর কিছু করণীয় নেই বলে আমি মনে করছি।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে তারা আমাদের সিদ্ধান্ত জেনে গেছে৷ এর বাইরে তারা আরও কিছু জানতে চাইলে সেটিও জানানো হবে৷ তবে আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।
‘এটি আইনগত নয় বরং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’— বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্টে তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসে না৷ একটি অঘটন ঘটলে তার বিচার হয়... আপনারা সবসময়ই এমনটা দেখে আসছেন৷ আমাদের আইন ও বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সেখানে আমাদের কিছুই করার নেই৷ আপনারা যেটা ইঙ্গিত করছেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যে মতামত দেওয়া হয়েছে, সেটি আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি৷ এর বাইরে আমাদের কিছুই করার নেই।
এমবি