মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
Share on:
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার (০১ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধে সব ধরনের ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পাশাপাশি মেডিক্যাল (এমবিবিএস) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত সময়ে মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, আমরা মেডিক্যাল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা খুবই সতর্কতার সঙ্গে নিই। এখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের করে থাকি। যেসব গাড়িটি প্রশ্ন নিয়ে যায় সে গাড়িগুলোকে আমরা ডিজিটালি ট্র্যাক করি। ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) কার্যালয়ে বসে আমরা দেখতে পারি কোথায় গাড়ি যাচ্ছে, থামছে বা কখন রওনা দিচ্ছে। যে বাক্সে করে প্রশ্ন নেওয়া হয় সেটা খুললেও বোঝা যায়- খোলা হচ্ছে নাকি বন্ধ করা হচ্ছে।
মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের সতর্কতা নিয়েছি। এখানে পুলিশ, র্যাব দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপও মনিটরিং করছি। এরইমধ্যে দুজন গ্রেফতার হয়েছে। যারা ভুয়া প্রশ্নপত্র পেয়ে ‘প্রশ্ন পেয়েছি’ বলেছে, তারা মূলত টাকার মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি করতে চেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি কোনো অঘটন ঘটবে না। আমরা সতর্ক আছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র দেখতে এলাম। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। মোট কেন্দ্র ১৯টি, ৫৭ টি ভেন্যু রয়েছে, সর্বমোট হল ১ হাজার ৭৯২। আমরা পরীক্ষা নিয়ে খুবেই সতর্ক রয়েছি। যেসব গাড়িতে প্রশ্ন নেওয়া হয় সেব গাড়িও আমরা ট্র্যাকিং করছি। কোথায় থামছে সেটাও দেখি।
তিনি আরও বলেন, দেশে বেসরকারি ৭২টি এবং সরকারি ৩৭টি মেডিক্যাল কলেজ আছে। সরকারি-বেসরকারি মিলে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ১০ হাজার ৮৩৯টি। এরইমধ্যে এসব আসনের বিপরীতে শুরু হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা। এজন্য মোট কেন্দ্র আছে ১৯টি। ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী এবার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে। যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি। সারাদেশে মোট ভেন্যু ৫৭টি, মোট হলের সংখ্যা এক হাজার ৭৯২টি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একে এম আহসান হাবিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ এইচএম এনায়েত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মমতাজউদ্দিন ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।
এইচএন