tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
খেলা প্রকাশনার সময়: ২১ জুন ২০২৪, ১৭:৫৯ পিএম

পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ফিটনেস সমস্যার দায় কার?


image-818766-1718969694

পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন নতুন কিছু নয়। অ্যাথলেট হওয়ার পরও প্রায়শই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিরিয়ানি বা ফাস্ট ফুড খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়।


দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীরাও ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরস করেন। কেন পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফিটনেসের এমন হাল?

সম্প্রতি সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন এবং অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সঙ্গে এক দীর্ঘ পডকাস্টে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ও কোচ মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানের সাবেক দুই কোচ মিকি আর্থার এবং গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন ক্রিকেটারদের ফিটনেসের দিকে কোনো নজর দেননি বলে অভিযোগ তার।

এমনকি হাফিজ দাবি করেছেন যে টিম ডিরেক্টর হওয়ার পর দলের ট্রেনারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেই খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে গা ছাড়া ভাবকে উৎসাহ দেওয়া হতো।

পাকিস্তান দলের ফিটনেস সমস্যার ‘রহস্য’ খুঁজতে গিয়ে হাফিজ ওই পডকাস্টে বলেন, ‘ট্রেনার আমাকে একটা অবাক করা তথ্য দেয়, সে জানায় সবশেষ টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে বলেছিল ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ক্রিকেটাররা যেভাবে খেলতে চায় সেভাবেই যেন তাদের খেলতে দেওয়া হয়। ফিটনেস নিয়ে তাকে বেশি ঘাঁটাঘাটি না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।’

এই কারণে বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তানকে ভুগতে হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন হাফিজ, ‘এ জন্যই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের শেষ ইনিংসে আমাদের খেলতে কষ্ট হচ্ছিল। আমাদের ক্লান্ত দেখাচ্ছিল, কারণ ফিটনেস লেভেল ঠিক ছিল না।’

টিম ডিরেক্টর হিসেবে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পরই ক্রিকেটারদের ফিটনেস লেভেল দেখে ভড়কে গিয়েছিলেন হাফিজ। তার ভাষায়, ‘খেলোয়াড়দের বডি ফ্যাট অনেক বেড়ে গিয়েছিল, যার ফলে তাদের দৌড়ানোর সক্ষমতা অনেক কমে যায়।’

উল্লেখ্য, চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। টুর্নামেন্টে ফিটনেসের কারণে আজম খানসহ দলটির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

এমএইচ