tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ১৮ মে ২০২৪, ২০:৫৩ পিএম

ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মামুনুল হক


mamunuls-20240518203016

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টার মত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ছিলেন।


পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। বের হওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন মামলার আলামত হিসেবে মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজকে ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিনি। আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি ফিরে পেতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

তবে মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়েছেন কি-না এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করলে হেফাজতের এই নেতা উত্তর না দিয়ে প্রাইভেটকারে ডিবি কার্যালয় ত্যাগ করেন।

এর আগে বিকেলের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আসেন মামুনুুল হক। এরপর ডিবি অফিসেই মাগরিবের নামাজ আদায় করেন তিনি।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেছিলেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক। গত ৩ মে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

এমএইচ