২৪ ঘণ্টায় গাজার ৫০ স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
Share on:
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ৫০টি লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় সামরিক অবকাঠামো, অস্ত্রের ডিপো এবং হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
গাজার মধ্যাঞ্চলে হামাসের একটি লক্ষ্যে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। পুরো গাজা জুড়ে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছে। বুরেইজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ছয় নারী এবং এক শিশু নিহত হয়েছে।
এদিকে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত হয়েছে। খান ইউনিসের বেশ কিছু আবাসিক এলাকায়ও হামলা চালানো হয়। এতে কমপক্ষে তিন শিশুসহ ১২ জন প্রাণ হারিয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ট বলেন, আমরা কোনো অবস্থাতেই হামাসের শাসন মেনে নেব না।
গাজায় চলমান যুদ্ধের ইতি টানতে নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। হামাস এতে রাজি থাকলে ইসরায়েলও মেনে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন করবি এ কথা জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাটি তুলে ধরেন।
সেখানে বলা হয়েছে, মোট তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। এর প্রথম ধাপ শুরু হবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে।
সে সময়ে গাজার জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়া হবে, দেওয়া হবে মানবিক সহায়তাও। একই সঙ্গে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী এবং জিম্মি বিনিময় হবে বলেও পরিকল্পনায় বলা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবে ইসরায়েল রাজি হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশা প্রকাশ করলেও ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যেই এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে দেওয়া হলো যখন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজার রাফা শহরে বিমান হামলা জোরদার করেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সাত মাস ধরে চলা সংঘাতে কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৪৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮২ হাজার ৬২৭ ফিলিস্তিনি।
এমএইচ