জেলেনস্কির প্রশাসনিক রদবদলে বিরক্ত ইউক্রেনীয়রা
Share on:
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ন্যাটো জোটের সঙ্গে ইউক্রেনের ঘনিষ্ঠতা ঠেকাতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া।
পশ্চিমা দেশগুলো সর্বশক্তি নিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায়। যার ফলে যুদ্ধ শেষের পরিবর্তে বরং প্রলম্বিত হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে নিত্য নতুন অস্ত্রের আবদার করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে নিজের দেশে আশঙ্কাজনক হারে জনপ্রিয়তা কমছে জেলেনস্কির। সাধারণ ইউক্রেনীয়রা এই যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় ক্লান্ত। এছাড়া বিদ্যুৎ সংকট, সীমাহীন দুর্নীতি আর সক্ষম পুরুষদের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে ‘বাধ্য’ করা, গুরুতর আহত হওয়ার পরও সৈন্যদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আর ক্ষণে ক্ষণে সরকারের উচ্চপদে পাইকারি হারে রদবদল তো আছেই।
সেফ জোনে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা, নিহত ৪০
আগস্টে করা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট পোলস্টারের এক জরিপে দেখা গেছে, এই বছরের জানুয়ারির দিকে জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ৬৯ শতাংশ থাকলেও এখন তা ৪৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
সম্প্রতি একজন উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং ছয়জন মন্ত্রী ইউক্রেনের এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ ভেরখোভনা রাদা’তে পদত্যাগপত্র পাঠালে সেগুলো কালক্ষেপণ না করেই গ্রহণ করা হয়। বলে রাখা ভালো, ইউক্রেনের সংসদে এখন একক আধিপত্য রয়েছে জেলেন্সকির দল সারভেন্ট অব দ্য পিপল পার্টির। তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের ব্যাখ্যায় জেলেনস্কি বলেন, ‘দেশকে নতুন দিশায় নিয়ে যেতে আমাদের কার্যক্রমে আমাদের নতুন শক্তির প্রয়োজন এবং এই নতুন পদক্ষেপগুলো আমাদের রাষ্ট্রকে বিভিন্ন দিকে শক্তিশালী করার জন্য নেওয়া হয়েছে’।
পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশ কিমের
তবে জেলেনস্কির এসব পক্ষেপে সন্তুষ্ট নন সাধারণ ইউক্রেনীয়রা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে আলাপে দেশটির একটি রেস্তোরাঁর ক্যাশিয়ার নাদিয়া গোরবাতেনকো বলেন, ’আমি আসলেই বুঝতে পারছি না জেলেনস্কি কেন এসব করছে। আমাদের যুদ্ধে মনযোগী হওয়া উচিৎ। নতুন মন্ত্রীদের দায়িত্ব বুঝে নিতে সময় লাগবে এবং এর ফলে সরকারের কাজে বিঘ্ন ঘটবে’।
জেলেনস্কি যখন সরকারে রদবদল করছেন, রাশিয়ার কারস্ক অঞ্চলের কিছু অংশ ইউক্রেন দখল করে ফেলায় আনন্দিত হচ্ছেন এবং রাশিয়ার আরও অভ্যন্তরে হামলার জন্য পশ্চিমা মিত্রদের কাছে অনুমতি চাইছেন–তখন ইউক্রেনের দনবাসে বিস্তৃত এলাকা রাশিয়ার দখলে চলে যাচ্ছে। তাই সরকারে রদবদল না এনে বরং যুদ্ধক্ষেত্রে জেলেন্সকিকে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সাধারণ ইউক্রেনীয় থেকে শুরু করে বিশ্লেষকরা।
এনএইচ