হিরো আলমকে অভিনন্দন জানালেন তথ্যমন্ত্রী
Share on:
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সদ্যসমাপ্ত উপ-নির্বাচনে বগুড়ায় দুটি আসনের (বগুড়া-৪ ও ৬) প্রার্থী হিরো আলমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি হিরো আলমকে অভিনন্দন জানাই। কারণ তিনি অনেক ভোট পেয়েছেন। তাকে এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তো অনেক কিছুই বলেন। তাই তিনি কি বললেন না বললেন তাতে কিছু আসে যায় না। তবে আমি হিরো আলমকে অভিনন্দন জানাই।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপি সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগের মতো অপরাজনীতি না করলে বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের আরও উন্নতি হতো বলেও মন্তব্য করেছেন হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) গত বৃহস্পতিবার ‘গণতন্ত্র সূচক ২০২২’ প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে গত ৫ বছর ধরে প্রতি বছরই গণতন্ত্র সূচকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮তম, ২০১৯ সালে ৮০তম, ২০২০ সালে ৭৬তম, ২০২১ সালে ৭৫তম এবং এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩তম।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে ক্রমাগতভাবে বলে আসছেন দেশে গণতন্ত্র নেই বলে। অথচ গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে ক্রমাগত অগ্রগতি করছে। এতেই প্রমাণ হয় বিএনপিসহ অন্যান্য দল বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে এগুলো যে মিথ্যা ও অসাড় সেটাই প্রমাণ করে।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও সংহত হতো। গণতন্ত্র দৃঢ় ও সংহত করার দায়িত্ব শুধু সরকারের একার নয়। সবার সম্মিলিত দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্র সংহত করা। সেটা সব রাজনৈতিক দল, সরকারি দল, বিরোধী দলের দায়িত্ব। সে সরকারের থাকুক বা না থাকুক।
বাংলাদেশ গণতন্ত্রে আরও সংহত হতো, আরও অগ্রগতি করতো, কয়েক ধাপ উন্নীত হতো-যদি বিএনপির অপরাজনীতি না থাকতো। সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগ, এ অপরাজনীতি যদি না থাকতো গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও বহু ধাপ এগিয়ে যেতে পারতো।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যে চর্চা হচ্ছে সেটার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সমস্ত চিঠির কথা অস্বীকার করেছেন। পরে আবার স্বীকারও করেছেন। এ ধরনের চিঠি বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে দেওয়া জাতি ও দেশের জন্য শুধু অমঙ্গলজনক নয় এটি দেশদ্রোহীতার শামিল।
এ ধরনের কনন্টেন্টে মিথ্যাচার করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। তাহলে বিএনপির গণতন্ত্র মানে বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করা।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিঠির ভাষা, জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাহলে বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করা সেটি গণতন্ত্র কি না সেটিই আমার প্রশ্ন।
এন