সেই আরিফ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার
Share on:
ময়মনসিংহে শরীফ চৌধুরী নামে এক যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ আরিফুজ্জামান আরিফকে (২২) মহানগর ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার (১০ এপ্রিল) মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহমেদ অনি ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাফসির আলম রাহাতের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সাময়িক বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
একইসঙ্গে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশও করেছে মহানগর ছাত্রলীগ।
এ ব্যাপারে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহমেদ অনি জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্রলীগ কখনো কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে না। ছাত্রলীগের যেকোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকলে এই ছাত্রলীগে ঠাঁই নেই।
ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে, কোনো ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে ময়মনসিংহ নগরের চরপাড়া এলাকায় হত্যার শিকার হন শরীফ চৌধুরী। নিজের বাসায় যাওয়ার সময় পেছন থেকে ঘাতকরা তাকে ছুরিকাঘাত শুরু করে। ৪৫ সেকেন্ডের সেই কিলিং মিশনে ১৮ বার ছুরিকাঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে এলাকা ছাড়ে পাঁচ ঘাতক। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শরীফ গৌরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ টাঙ্গুয়া গ্রামের শহীদুল আলম চৌধুরীর ছেলে। ক্লিনিক ব্যবসা পরিচালনার সুবাদে সপরিবারে ময়মনসিংহ নগরের চরপাড়া এলাকায় থাকতেন তারা।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় শুক্রবার ভোর রাতে হত্যার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ আরিফুজ্জামান আরিফসহ তিনজনকে এবং রোববার ভোরে বাকি দুজনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেফতারের পর মামলার প্রধান আসামি আরিফুজ্জামান আরিফের দেখানো অনুযায়ী সদরের পরানগঞ্জ ভাটিপাড়ায় নিজ বাড়ির পেছনে খড়ের গাদার ভেতর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
এইচএন