tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০২ এএম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ২৮ হাজার ছুঁই ছুঁই


untitled-5-20240210095908

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব যেন কমছেই না। বরং গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে তারা হামলা চালায়নি। এই উপত্যকার কোথাও এখন নিরাপদ নয়। গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ২৭ হাজার ৯৪৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬৭ হাজার ৪৫৯ জন।


সামরিক বাহিনীকে রাফাহ থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়া এবং হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এদিকে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত প্রশ্ন করেছেন যে, পরিকল্পিত হামলার মধ্যে বেসামরিকদের কোথায় সরিয়ে নেওয়া হবে? কারণ গাজায় এখন আশ্রয় নেওয়ার মতো নিরাপদ কোনো স্থান আর নেই।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকই এখন রাফাহ শহরে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু সেথানে কোনো বাড়ি-ঘর নেই, আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো জায়গাও নেই।

খান ইউনিসে ইসরায়েলি স্নাইপাররা নাসের হাসপাতালের বাইরে অন্তত ২১ জনকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে চিকিৎসা কর্মীও রয়েছেন। গাজায় ২৪ ঘন্টায় ১০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১৪২ জন আহত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। চার মাসের বেশি সময় ধরে সেখানে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আর কয়েক মাসের মধ্যেই গাজায় সম্পূর্ণ বিজয় সম্ভব হবে।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে তিন ধাপে ১৩৫ দিনের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বিনিময়ে অবরুদ্ধ উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নিতে হবে এবং বন্দি ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের মুক্তি দিতে হবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে গত সপ্তাহে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেটির জবাবেই এসব শর্ত দিয়েছে হামাস। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর গত পাঁচ মাসের মধ্যে সংঘাত বন্ধে এটিই সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।

এনএইচ