৫২ ঘণ্টা পর ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মুক্ত
Share on:
খন্দকার আশরাফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) মো. ফরহাদ হোসেন দীর্ঘ ৫২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর নিজ কার্যালয় থেকে বের হতে পেরেছেন।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয় থেকে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করেন ভিসি ফরহাদ হোসেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল ৯টার পর তৃতীয় শ্রেণির ২২ কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণসহ ১৪ দফা দাবিতে ভিসিকে তার কার্যালয়ে কর্মচারীরা অবরুদ্ধ করেন। তারা ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে ভিসির কার্যালয়ে যান। তারা দুর্নীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এই মিছিল উপাচার্যের কার্যালয়ে আসার পর সেখানে অবস্থান ধর্মঘটে থাকা কর্মচারীরা চলে যান। শিক্ষার্থীরা তালা খুলে ভিসির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
তারা ভিসিকে বাইরে আসার অনুরোধ জানান। ওই সময় ভিসি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাইরে না এলেও পরে দুপুরে ছাত্রদের সাথে গিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করেন।
অযৌক্তিক কিছু দাবি আদায়ের জন্য তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারিরা ভিসি স্যারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা উল্লেখ করে মিছিল নিয়ে ভিসির কার্যালয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বদানকারী মাহমুদুল হাসান দুলাল বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
জুম্মার নামাজ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভিসি ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি গর্বিত, আমি এমন কিছু সন্তান পেয়েছি, যারা সত্য, ন্যায় এবং বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে। তোমাদের মতো সন্তানরা থাকলে এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, এ দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়ায় তারা থাকলে দেশ জাতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই এগিয়ে যাবে।
এদিকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মবিরতি এখনও অব্যাহত আছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
তিনি আরও বলেন, ভিসি কার্যালয়ের বাইরে যাওয়ায় আমরা কোনো বাঁধার সৃষ্টি করিনি। অবস্থান ধর্মঘট শুরুর পরেই ভিসিকে জানানো হয়েছিল- সকালে হাঁটা বা বিশেষ কোনো প্রয়োজনে তিনি (ভিসি) কার্যালয়ের বাইরে যেতে পারবেন।’
এন