কেউ গুম হয়নি, নিখোঁজদেরকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন : জামায়াত
Share on:
বিভিন্ন সময় গুম বা নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে গত ৫ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, জনগণ তার বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
বিভিন্ন সময় গুম বা নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে গত ৫ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, জনগণ তার বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় গুম বা নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যগণ মানববন্ধন কর্মসূচি ও সাংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্নভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদেরকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিল। এ বিষয়ে সরকার নীরব থেকে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। গত ৫ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘কেউ গুম হয়নি। যারা পালিয়ে আছে, তাদেরকে শীঘ্রই হাজির করা হবে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশের জনগণ।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়েছে, এমনটিই দেখতে চাই।’
গ্রেফতার পাবনা জেলা নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাবনা জেলা শাখার আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি দারুল আমান ট্রাস্ট ভবনে এক সামাজিক বৈঠক চলছিল। সাড়ে ১২টার দিকে ডিবি পুলিশ ট্রাস্ট ভবন ঘেরাও করে এবং ওই মিটিং থেকে পাবনা জেলা শাখার আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল, নায়েবে আমির ও আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা জহুরুল ইসলাম, নায়েবে আমির অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শ্রম বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক রেজাউল করিম ও বায়তুলমাল সেক্রেটারি মাওলানা আবদুস শাকুরকে রোববার বেলা সোয়া ১টার দিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আমি এই গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ‘সরকার কোনো নাগরিককেই তার নাগরিক অধিকার ভোগ করতে দিচ্ছে না। সরকার সামাজিক কার্যক্রম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে অন্যায় এবং অসাংবিধানিক কাজ করেছে। আমি তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
শ্রমিক কল্যাণ নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পাবনা জেলা সভাপতি শ্রমিক নেতা অধ্যাপক রেজাউল করীম ও জেলা ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলসহ ৪ জন উপদেষ্টাকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই অধ্যাপক রেজাউল করীমসহ নিরাপরাধ নেতৃবৃন্দকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে রোববার দুপুর ১টায় পাবনা দারুল আমান ট্রাস্ট থেকে গ্রেফতার করেছে। আমরা পুলিশের এই অন্যায় আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং একই সাথে নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনার এই কঠিন দুর্যোগে শ্রমজীবী মানুষরা চরম দুঃসময়ে দিন কাটাচ্ছে। সরকার শ্রমজীবীসহ সাধারণ জনতার কষ্ট লাঘবে নিয়োজিত না থেকে যারা শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের গ্রেফতার করে হয়রানি করতে বেশি তৎপর রয়েছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আপনারা সংবিধান সমুন্নত রাখুন। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে বিরোধী দল-মতের প্রতি সম্মান দেখান। শ্রমিক সংগঠনসহ সকল রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম ও কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা করুন। মানুষের বাক স্বাধীনতাসহ সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করুন। দেশে আইনের শাসন বজায় রাখুন।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অবিলম্বে অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল ও অধ্যাপক রেজাউল করীমসহ সকল রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। রাজবন্দিদের নামে হয়রানিমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় শ্রমজীবী মানুষরা তাদের নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করার জন্য অচীরে রাজপথে নেমে আসবে।
সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি