tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ২৭ জুন ২০২৪, ১৬:৩৮ পিএম

আনার হত্যার মোটিভ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় ডিবি


a461d_ad89263eb0_long

ঝিনাইদাহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া সাতজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তবে হত্যার মোটিভ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় রয়েছে ডিবি।


বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ এসব তথ্য জানান।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, এমপি আজীম হত্যা মিশনে অংশ নেয় সাতজন। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পেছনে কোন মোটিভ কাজ করেছে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে অর্থ, ব্যবসা ও রাজনৈতিক কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

হারুন অর-রশীদ বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে সাতজন সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয়। বাকিরা পরিকল্পনা ও সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এদের মধ্যেও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের পুলিশ। বাকি সাত জনকে বাংলাদেশের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

তিনি বলেন, বুধবার দুপুরের পর খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার নিয়ে অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী সাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ছদ্মবেশে মন্দিরে অবস্থান করছিলেন। এমপি আজীমের হত্যা মিশনে অংশ নেওয়ার পর দেশে ফিরে আসেন তারা। দেশে এসে চলে যান চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে। সেখানে শ্রী শ্রী পাতাল কালীমন্দির এলাকায় অবস্থান নেন।

ফয়সাল নিজেকে পলাশ ও মোস্তাফিজ নাম পাল্টে শিমুল রায় পরিচয় দেন। এ পরিচয়ে মন্দিরে এতদিন অবস্থান করছিলেন।

বুধবার রাতে হেলিকপ্টারে আসামিদের নিয়ে ঢাকায় ফেরে ডিবির অভিযানিক দলটি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, কলকাতায় এমপি আজীমকে খুন করে ১৯ মে দেশে ফেরেন মোস্তাফিজ ও ফয়সাল। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। আদালতে জবানবন্দিতে একাধিক অভিযুক্ত ব্যক্তি হত্যায় তাদের জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছেন।

এসএম