tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০৪ জানুয়ারী ২০২২, ১৪:৪৯ পিএম

হাইতির স্বাধীনতা দিবস, ভাষণ না দিয়েই পালালেন প্রধানমন্ত্রী


হাইতি.jpg

করোনা, সহিংসতা গ্রাস করেছে দারিদ্র্যপীড়িত হাইতিকে। দেশটির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একটি চার্চে গত শনিবার ( ১ জানুয়ারি) ভাষণ দেয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরির।


সহিংসতা গ্রাস করেছে দারিদ্র্যপীড়িত হাইতিকে। দেশটির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একটি চার্চে গত শনিবার ( ১ জানুয়ারি) ভাষণ দেয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরির।

কিন্তু সেখানে বন্দুকযুদ্ধ হয়। ফলে ভাষণ না দিয়েই তিনি সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

দেশটির লি নুভেলিস্তে নিউজ আউটলেট বলেছে, তিনি নতুন বর্ষবরণের দিন সকালে গোনাইভিস অঞ্চলে একটি ক্যাথেড্রালে যোগ দিয়েছিলেন।

১৮০৪ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের বার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে গণসমাবেশে তার বক্তব্য রাখার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বেসামরিক ও নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। ফলে পরিকল্পিত ওই ভাষণ দিতে ব্যর্থ হন প্রধানমন্ত্রী হেনরি।

তিনি ও অন্যরা মাথা নিচু করে সেখান থেকে নিরাপদে চলে যান। স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ সময় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দু’জন।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা এপিকে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে সোমবার বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হেনরিকে হত্যা করতে হামলা করেছিল দস্যু এবং সন্ত্রাসীরা। তারা প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা চালানোর জন্য দেয়ালের আড়ালে লুকিয়ে ছিল। এ বিষয়টি সহ্য করার মতো নয়।

এরই মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ওদিকে হাইতির ন্যাশনাল পুলিশের মুখপাত্র সোমবার বলেছেন, ওই এলাকা এখন পুলিশ ঘিরে রেখেছে।

হাইতি এখন দুর্র্বৃত্তদের সহিংতার এক উন্মুক্ত ময়দান। সেখানে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে তা বেশি। জুলাইয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোশে’কে হত্যা করা হয়। তারপর থেকে দেশটির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আরো গভীর হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট মোশে’কে হত্যার দু’সপ্তাহেরও কম সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন হেনরি। দেশটিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও নির্বাচন দিতে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে অধিকারকর্মীরা।

শক্তিধর অস্ত্রধারী গ্যাংগুলো প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছেন হেনরি।

গোনাইভিস শহরের রাজপথ ১লা জানুয়ারি কার্যত ছিল ফাঁকা। স্বাধীনতা উদযাপনের যথাযথ রীতিতে ক্যাথেড্রালও ছিল জনশূন্য। কিন্তু উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সত্ত্বেও ব্যাপক মানুষের সমাবেশ ঘটানোর জন্য গোনাইভিসের বিশপকে টুইটে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হেনরি।

এর আগে ২০২০ সালে সহিংস প্রতিবাদের মুখে গোনাইভিস শহরে সফর বাতিল করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশে। শনিবারের হামলা সম্পর্কে রোববার প্রধানমন্ত্রী হেনরি একটি বিবৃতি দিয়েছেন টুইটারে।

তাতে বলেছেন, আমাদের শত্রুরা, হাইতির মানুষের শত্রুরা হলো সন্ত্রাসী। তারা সাধারণ মানুষকে হত্যা করতে, অপহরণ করতে, তাদের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিতে, ধর্ষণ করতে দ্বিধাবোধ করে না। অর্থের জন্য তারা সবই করে।

দেশটিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকার এই নভেম্বরে সেদেশে থাকা তাদের নাগরিকদের দ্রুত দেশ ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়।

এইচএন