দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে: ড. মাসুদ
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, আমাদের কর্মীরা আমাদের কাছে আমানত। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কর্মীরা গত ২৮ অক্টোবর চরম বাঁধা প্রতিকূলতার মাঝেও জীবনবাজি রেখে রাজধানীর শাপলা চত্বর মতিঝিল আরমবাগে ছুটে এসে নেতাদের পাশে দাঁড়িছিলেন। রাজপথে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা জীবন দিতে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। এই নেতাকর্মীদেরকে কুরআনের শিক্ষায় উদ্ভাসিত হয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। কুরআনের শিক্ষায় উদ্ভাসিত হয়ে আল্লাহর জমিনে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে। বাতিলের সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় আল্লাহর রহমতের উপর ভরসা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মতিঝিল শাহজাহানপুর জোন কর্তৃক আয়োজিত নৈশকালীন ইবাদত ও ইসলামী আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মতিঝিল শাহজাহানপুর অঞ্চলের পরিচালক সৈয়দ সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে এবং শাহজাহানপুর পূর্ব থানার আমির মো: আবু আম্মারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জোনের বিভিন্ন থানা আমির, সেক্রেটারিসহ পাঁচ শতাধিক রুকন ও কর্মীরা।
ড. মাসুদ বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আজ নির্বাচন কমিশন দিয়ে একতরফার তফসিল ঘোষণা করেছে। এর ফলে শুধু বাংলাদেশে নয় গোটা বিশ্ব থেকেও আওয়ামী গোষ্ঠী ও তাদের আজ্ঞাধীন প্রশাসন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং আরো সঙ্কটে পড়বে বলে জনগণ মনে করে। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন, জনগণের অধিকার হরণের ফলে তারা বহির্বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। আগেই ভিসা-নীতিসহ বিভিন্ন স্যাংশনের মুখে পড়েছে দেশ। এমতাবস্থায় সরকার নিজেরা বাঁচার জন্য দেশের ১৮ কোটি মানুষকেই বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্র করে ফেলেছে। তবে দেশপ্রেমিক জনতা জেগে উঠেছে, তারা নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হয়েছে। এদেশের মানুষ এই সরকারের আর কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দিবে না।
তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস চলছে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম বিপর্যস্ত, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। দেশে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে ঘোষিত একতরফার তফসিল প্রত্যাহার করুন, নির্বাচন কমিশনাররা পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় এদেশের জনগণ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই আপনাদের পতন ঘটিয়ে নিজেদের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায় করবে ইনশাআল্লাহ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি