tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশনার সময়: ৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:০১ পিএম

দেশের বাজারে আরও কমতে পারে পেঁয়াজের দাম


c212fd10-9

এমডি আকতার হোসেন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ নিয়ে রাতেই ট্রেন বাংলাদেশে আসবে।


প্রথম চালানে এক হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসবে। এ পেঁয়াজ দেশের বাজারে আসলে দাম আরও কমতে পারে।

রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্স সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

জানা গেছে,গত বুধবার পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় মন্ত্রী সভার কমিটি। এ খবরে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে। দু এক দিনের মধ্যে বাজারে পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম আরও কমতে পারে। তবে পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকার নিচে আসলে দেশের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে করে পেঁয়াজ চাষিরা নিরোসাহিত হবে।

প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, যেহেতু পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য সেহেতু প্রথম ট্রেনে ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এই পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। পর্যায়ক্রমে আমদানি করা বাকি পেঁয়াজও দেশে আসবে।

বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

গত বছরের আগস্টে ভারতের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সরকার ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করে। এরপর গত অক্টোবরে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয় টনপ্রতি ৮০০ মার্কিন ডলার। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে এসব পদক্ষেপ খুব বেশি কার্যকর না হওয়ায় গত ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার।

চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয়। ভারতের এ নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়ে পেঁয়াজের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মুড়ি কাটা পেঁয়াজের দাম ওঠে ১৪০ টাকা পর্যন্ত।

২৫ দিন আগে ২ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) নারী উদ্যোক্তাদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসার কথা জানিয়েছিলেন। রমজান শুরুর আগেই ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে আসার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন তিনি। সে পেঁয়াজ আজ রাতেই আসভে। যা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

ভারত গত ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়, যা গতকাল পর্যন্ত বহাল থাকার কথা ছিল। তবে পরে ভারত সরকার এই নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকাল থাকবে বলে জানায়। ডিসেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৪০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় বাজারে অবশ্য পেঁয়াজের দাম পরে কমে আসে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেনাবেচা হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ কেনাবেচা হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির হিসাব বলছে, এক মাসে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দর কমেছে ২৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।