tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:২৫ পিএম

কোনো শ্রমিক কারখানায় আগুন দেয় না : নজরুল ইসলাম খান


nazrul-islam-khan-20231201134338

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তারা নাকি কারখানায় আগুন দিয়েছে। কোনো শ্রমিক তার উপার্জন স্থলে ও কারখানায় আগুন দেয় না।


আগুন দেয় তারা, যারা শ্রমিকদের এই আন্দোলনকে আগুন দিয়ে নস্যাৎ করতে চায়। যারা শ্রমিকদের নির্যাতন করতে চায়, তারা এসব করে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কখনো তদন্ত হয় না। আর এসব হয় না বলেই কখনো প্রকৃত অপরাধীরা বিচারের আওতায় আসে না।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ (এসএসপি) আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ তিনি এ কথা বলেন।

শ্রমিক হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ, কর্মচ্যুতদের পুনর্বহাল, গ্রেপ্তারদের মুক্তি, গার্মেন্টস শিল্প ঘোষিত মজুরি প্রস্তাব প্রত্যাহার ও ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, যখনই শ্রমজীবী মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য আন্দোলন করে তখনই তাদের সে আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়। যখন তারা ন্যায্য মজুরির কথা বলে তখন তাদের ভয় দেখানো হয়।

বলা হয় মজুরি বাড়ালে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু অতীতে মজুরি বাড়লেও কখনো কোনো কারখানা বন্ধ হয়নি। বরং যাদের কারখানায় একটি ছিল তাদের কারখানা আরও ২/৩টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের শ্রমিকের অভাব মেটেনি।

তার কারণ হচ্ছে, মজুরি যে পরিমাণ বাড়ে জিনিসপত্রের দাম তার থেকে বেশি বাড়ে। বাড়ি ভাড়া বাড়ে, স্কুলের ছেলেমেয়েদের খরচ বাড়ে, চিকিৎসা খরচ বাড়ে। ফলে তাদের অভাব আর মেটে না।

এই শ্রমিক নেতা বলেন, গত কয়েকদিন আগে যে মজুরি বাড়ানো হলো তারপর থেকে এ পর্যন্ত নিত্যপণ্যের দাম যে বেড়েছে, সেই ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এখন যদি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ন্যায্য হয় তবে কিছুদিন আগে যেটা ন্যায্য ছিল, সেটা তো ন্যায্য না।

ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশি টাকায় রপ্তানিকারক শিল্পপতিরা যে পরিমাণ মুনাফা করেছে, ওই পরিমাণ মুনাফা টাকা দিয়ে আগামী কয়েক বছর আমাদের শ্রমিকদের অন্তত ২০ হাজার টাকা করে মজুরি দেওয়া সম্ভব। কিন্তু তারা দেবে না। কারণ তারা মুনাফায় ভাগ দিতে চায় না।

কারাবন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আজকে যারা আন্দোলন করছে, তাদেরকে গ্রেপ্তার করে রাখা হচ্ছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

যারা লড়াই করছিলেন— মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সব নেতাদের কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। যারা আমার-আপনার পক্ষে লড়াই করবে।

যারা আমার-আপনার পক্ষে কথা বলবে তাদের মুক্তির দাবি আমাদের জানানো উচিত। যারাই অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছে আমরা তাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক এ এ এম ফয়েজ হোসেন, নির্বাহী সমন্বয়ক আব্দুর রহমান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার,

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম,

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু ও জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

এসএম