নারায়ণগঞ্জে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
Share on:
আগামীকাল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। এই নির্বাচনকঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচন উপলক্ষে রাত থেকেই মাঠে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আগামীকাল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। এই নির্বাচনকঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচন উপলক্ষে রাত থেকেই মাঠে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে যাতে অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য রাত থেকেই বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। মোট ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, নারায়ণগঞ্জে আলাদাভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই, সবগুলো কেন্দ্রকেই বিশেষ বিবেচনায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মাহফুজা আক্তার বলেন, ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে থাকবেন পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য। এছাড়া আটজন পুরুষ ও চারজন নারী আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, নাসিক নির্বাচনে পুলিশের ২৭টি ইউনিট স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। এছাড়া পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে ৬৪টি, প্রতি টিমে সদস্য থাকবে পাঁচজন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৪ প্লাটুন সদস্য থাকবেন। র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে তিনটি, চেকপোস্ট থাকবে ছয়টি, টহল টিম থাকবে সাতটি ও স্ট্যাটিক টিম থাকবে দুটি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছি। আমরা নির্বাচনী মাঠের পর্যবেক্ষণ করেছি। কিছু কিছু ওয়ার্ডে টান টান উত্তেজনা আছে।
বিশেষ করে সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের ১, ২, ৬ নং ওয়ার্ডসহ শহর ও বন্দরে কয়েকটি ওয়ার্ড আছে। সেখানে তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে সাদা পোশাকে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও র্যাবের টহল অব্যাহত রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রের এক হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোটের মাঠে মেয়র পদে ছয়জন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জনসহ মোট ১৮৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।
মেয়র পদের ছয় প্রার্থী হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস ও খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন।
গত ৩০ নভেম্বর এই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২০১১ সালে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এবার এই সিটিতে এটি তৃতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
প্রথমবার ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে ভোট হয়।
এইচএন