রাত পোহালেই ভোট, কলকাতা কার ?
Share on:
২০১৫ সালে ১৪৪টি ওয়ার্ড এর এই নির্বাচনে ১১৪টি ওয়ার্ড দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল। বামেরা পেয়েছিল ১৪টি, বিজেপি ৭টি এবং কংগ্রেস ৫টি। এবারও কোনও অঘটন না ঘটলে কলকাতা তৃণমূলের হাতেই যাচ্ছে। শুধু দেখার বিষয় তাদের ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ে না কমে।
রাত পোহালেই কলকাতা পোরসভার ভোট। অর্থাৎ কলকাতার জনগণ রায় দেবেন, আগামী ৫ বছরের জন্য মহানগরীর প্রশাসনিক দায়িত্ব তাঁরা কাদের হাতে তুলে দেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ১৪৪টি ওয়ার্ড এর এই নির্বাচনে ১১৪টি ওয়ার্ড দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল। বামেরা পেয়েছিল ১৪টি, বিজেপি ৭টি এবং কংগ্রেস ৫টি।
এবারও কোনও অঘটন না ঘটলে কলকাতা তৃণমূলের হাতেই যাচ্ছে। শুধু দেখার বিষয় তাদের ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ে না কমে। দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে বামেদের জায়গায় উঠে এসেছে বিজেপি। তারা কটি ওয়ার্ড দখল করে সেটিও দেখার।
প্রায় প্রচ্ছন্ন হয়ে যাওয়া বাম ও কংগ্রেস কিছুটা হলেও নিজেদের হারানো স্থান কলকাতায় ফিরে পায় কিনা সেটাও দেখার বিষয়।
আগামীকাল রোববার ( ১৮ ডিসেম্বর) টানটান উত্তেজনার মধ্যে ভোট হচ্ছে। কলকাতার নগরপাল সোমেন মিত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করতে শুক্রবার রাতে সব কটি ডিসি অফিসে যান।
কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর বিজেপির আর্জি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করে দিয়েছে। বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে গেছে। শুনানি আজ।
এদিকে ভোটের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলকাতা। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল মন্ত্রী জাভেদ খানের দলের সঙ্গে তৃণমূলেরই প্রার্থী সুশান্ত ঘোষের অনুগামীদের সংঘর্ষে উত্তাল হয় চৌবাগা অঞ্চল। বেশ কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করা হয়।
রোববার পুরভোট একদম নির্বিঘ্নে কাটবে তা আশা করছে না পুলিশ। তবে, তারা যে কোনও পারস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বলে পুলিশ কমিশনার সোমেন মিত্র জানিয়েছেন।
কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি এই ভোটে রাজ্য পুলিশও থাকছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে কোনও অশান্তি হলে তার দায় এড়াতে পারবেন না কমিশনার ও ডিজি।
গতকাল শুক্রবার ( ১৭ ডিসেম্বর) প্রচারের শেষলগ্নে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পদযাত্রা করেন বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে কালীঘাট পর্যন্ত। জনজোয়ার ছিল দেখার মত।
এইচএন