বকেয়া বিল না দেয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত
Share on:
অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা ছাড় না করায়, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না বলে জানালেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি জানান, জ্বালানি কেনা ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্যই টাকার দরকার। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই খাতের কর্তাব্যক্তিদের অনিয়মের কারণেই অযৌক্তিক ব্যয় বেড়েছে।
গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে উৎপাদন ঘাটতির কারণে সারা দেশেই বেড়েছে লোডশেডিং। সরকারি হিসেবে চাহিদা প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু দিনে উৎপাদন ১২ হাজার ও সন্ধ্যায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। যদিও বেসরকারি হিসাবে এই ঘাটতি আরও বেশি। গ্রামে দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকেনা। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের।
এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত জ্বালানির বকেয়া ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বকেয়া বিল ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এরিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এই বিল পরিশোধে বলা হয়েছে। টাকা ছাড় পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহে সমস্যা হবেনা বলে জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুত। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে, আমাদের ট্রান্সমিশন লাইনও আছে। আসল কাজ হলো, জ্বালানি সময়মতো সাপ্লাই করা।
বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। এই সক্ষমতার বিপরীতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট গুণতে হয় সাধারণ মানুষকে। কিন্তু তারপরও বিদ্যুৎ না পাওয়া অন্যায়। পরিস্থিতি উত্তরণে অযৌক্তিক ব্যয় বন্ধ করার পরামর্শ কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলমের।
তিনি বলেন, যে অবকাঠামো সেবা দিবে না, সে অবকাঠামোর জন্য ব্যায় বা তার জন্য ভাড়া ভোক্তা দিবে না। এটা আইন দ্বারা নিশ্চিত করতে হবে। সাংঘর্ষিক অবস্থায় কিছু রেখে ঘাটতি পূরণ করা যাবে না।
খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি আমিষ উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীরখাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি আমিষ উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার-এনএলডিসির সাথে সবগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র যুক্ত না থাকায় বিদ্যুৎ খাত নিরাপত্তাহীনতায় আছে বলেও মনে করেন তিনি।
সূত্র: একাত্তর টিভি
এসএম