‘বিশ্বাসঘাতকদের কারণে প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়েছে’
Share on:
ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর জন্য ‘বিশ্বাসঘাতকদের’ দায়ী করেছে ওয়াগনার গ্রুপ সংশ্লিষ্ট একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল। সেখানে বলা হয়েছে, সত্যিকারের একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন প্রিগোজিন।
গ্রে জোন চ্যানেলের পোস্টে বলা হয়, মাতৃভূমির একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ছিলেন ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। রাশিয়ার বিশ্বাসঘাতকদের কারণে মারা গেছেন তিনি।
এদিকে বিমান দুর্ঘটনায় প্রিগোজিনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার এভিয়েশন এজেন্সি রোসাভিয়েতসিয়া। তারা জানিয়েছে, মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাওয়ার সময় বিধ্বস্ত হওয়া একটি বিমানে থাকা ১০ জনের মধ্যে প্রিগোজিন ছিলেন একজন।
রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার বিমানটি টাভার অঞ্চলের খুজেনকিনো গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হয়।
বিমানের ফ্লাইট ট্র্যাকিংয়ের তথ্য সরবরাহকারী সাইট ফ্ল্যাইটট্রেডার২৪-এর কর্মকর্তা ইয়ান পেটচেনিক জানান, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিটে বিমানটি হঠাৎ নামতে শুরু করে। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ৮ হাজার ফুট নেমে এসেছিল বিমানটি।
তিনি বলেন, ‘যা কিছু ঘটেছে খুব দ্রুত ঘটেছে।’
এদিকে প্রিগোজিনের মৃত্যুর খবরে রাশিয়ান শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর সাবেক সদর দপ্তরের কাছে একটি অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ফুল দিয়ে প্রিগোজিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে বহন করা বিমানটি রাশিয়ার খুজেনকিনো গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সাত যাত্রী ও তিন ক্রু ছিলেন।
রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ওই সাত যাত্রীকে শনাক্ত করেছে। তারা হলেন— ইয়েভজেনি প্রিগোজিন, তার প্রধান সহচর দিমিত্রি ইউতকিন, সের্গেই প্রপুস্টিন, ইয়েভজেনি মাকারান, আলেকসান্দার ততমিন, ভ্যালেরি চেকালভ এবং নিকোলাই মাতুসিয়েভ।
এবি