tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ১২ জুলাই ২০২৪, ১৭:৩০ পিএম

জামিন পেলেও মুক্তি মেলেনি কেজরিওয়ালের


image-827323-1720784361

আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবার ভারতের সুপ্রিমকোর্টে মামলার শুনানি শেষে জামিন দেওয়া হয় তাকে।


জামিন পেলেও আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে কেজরিওয়ালকে। কারণ, কয়েকদিন আগে তাকে অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে সিবিআই।

সম্প্রতি আদালত কক্ষেই দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর আগে তিনি গ্রেফতার হন ইডির হাতে। সেই মামলায় হাইকোর্টে প্রথমে জামিন পেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে পরে সেই জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

২০২১ সালের নভেম্বরে কেজরিওয়ালের দিল্লি সরকার মদ বিক্রির নতুন এক নীতি কার্যকর করে। তবে কয়েকদিন পরই সেই নীতি বাতিল করা হয়। এরইমধ্যে সেই নতুন নীতির অধীনে নির্দিষ্ট কিছু মদ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুস নিয়ে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। মদ বিক্রির লাইসেন্সের জন্য ডিলাররা আম আদমি পার্টিকে ১০০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছিল বলে অভিযোগ।

এদিকে পুরো ঘটনায় তেলঙ্গানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে কবিতার সরাসরি যোগ ছিল বলে দাবি করা হয়। ইডির অভিযোগ, কবিতার মদদেই দক্ষিণ ভারতের অনেক সংস্থা আম আদমি পার্টিকে ঘুস দিয়ে দিল্লিতে মদ বিক্রির লাইসেন্স পেয়েছিল। আর এই লেনদেনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বর্তমান রাজসাক্ষী রেড্ডি।

এমন আবহে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টিকে ‘কোম্পানি’ আখ্যা দিয়েছিল ইডি। শুধু তাই নয়, এই দুর্নীতির ‘মাথা’ অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই বলে দাবি করা হয়েছিল।

এর আগে কেজরিওয়ালের যে জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল, তা নিয়ে দীর্ঘ শুনানি চলে দিল্লির আদালতে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে কেজরিওয়ালের যোগসূত্র আছে বলে তুলে ধরার চেষ্টা করে ইডি।

তবে কেজরিওয়ালের আইনজীবী দাবি করেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণই নেই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। সেই শুনানির পর প্রাথমিকভাবে রায় দেওয়া স্থগিত রাখেন বিচারক। পরে শর্তসাপেক্ষে কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করা হয়।

পাশাপাশি বিচারক নির্দেশ দেন যে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনো রকম বাধা তৈরির চেষ্টা করতে পারবেন না। কোনো সাক্ষীকে প্রভাবিতও করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে যখনই প্রয়োজন হবে, তখনই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তদন্তেও কেজরিওয়ালকে সহযোগিতা করতে হবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল দিল্লির আদালত। সূত্র: এনডিটিভি

এনএইচ