আল্লাহ সাক্ষী, নিজের জন্য কোনো সম্পদ করিনি: পরিকল্পনামন্ত্রী
Share on:
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেছি।
তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহ সাক্ষী, নিজের জন্য কোনো সম্পদ করিনি। নিজের ভিটা সরকারকে বিনা পয়সায় দিয়ে সেখানে স্কুল বানাইছি।
বাবার নামে আরও দেড় কিয়ার (৪৫ শতক) জায়গা ছিল, সেখানে টেকনিক্যাল স্কুল হবে। তাতে এতিম ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করবে।’
শনিবার(১৮নভেম্বর) দুপুরে নিজের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পার্বতীপুরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন এম এ মান্নান।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সড়ক উন্নয়নের সাতটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধনের কথা ছিল পরিকল্পনামন্ত্রীর।
কিন্তু নির্বাচনী আচরণবিধির প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না করে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য।
যারা বোমাবাজি করে তাদের সঙ্গে কোনো আপস নেই উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অনেকে অনেক দল করতে পারি। এটা অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু যারা বোমা মেরে দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়, তাদের সঙ্গে আমরা কোনো আপস করব না।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘গতকাল এক রিকশাচালক আমাকে বলেছেন, অবরোধের কারণে বউ-ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁদের উপোস থাকতে হচ্ছে। যারা অবরোধ দেয়, তারা তো না খেয়ে থাকে না।
মানুষের গলায় কাছি লাগাইয়া ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। এদের সঙ্গে আপস করলে লাখো শহীদের অপমান হবে। অন্যদের সঙ্গে আমরা কথা বলতে রাজি আছি।
যে যে দলই করি না কেন, আমাদের সবাইকে দেশের ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করতে হবে। জ্বালাও–পোড়াও করে দেশকে ধ্বংস করার অধিকার কারও নেই।’
দলীয় সভানেত্রী মনোনয়ন দিলে তিনি আবারও মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দুইটা মাস অপেক্ষা করেন।
শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় এলে তাঁর সহযোগী হিসেবে আবারও কাজ করার সুযোগ পাব আশা করি। এলাকার জন্য, দেশের জন্য যদি কিছু কাজ করে থাকি, তাহলে আপনার আমাকে বিবেচনা করবেন। এটাই আমার শেষ নির্বাচন।’
অনেক কাজ বাকি আছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আরও বলেন, সুনামগঞ্জে মেডিকেল কলেজ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। সুনামগঞ্জে রেল আসবে।
পর্যটকদের টাঙ্গুয়ার হাওরে যাতায়াতের সুবিধার্থে সুনামগঞ্জে বিমানবন্দরও হবে। সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আরও উন্নয়ন হবে। এসব করতে হলে নৌকাকে জয়ী করতে হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে উন্নয়ন থেমে যাবে।
এ সময় শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।