স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আলোচনা সভা
Share on:
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা, দারিদ্র, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ভোটচুরি ও বৈষম্যমুক্ত গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
শনিবার রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মুসা ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি, মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমুখ।
এ সময় সেলিম উদ্দিন বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, অবাধ গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্যই আমরা মরণপন যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বোধ-বিশ্বাসের আলোকে শাসনকাজে ইসলামী আদর্শ অনুসৃত না হওয়ায় আমাদের স্বাধীনতা পুরোপুরি অর্থবহ হয়ে ওঠেনি। এদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান হলেও কুরআন-সুন্নাহর আলোকে শাসনতন্ত্র রচিত হয়নি। তাই অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে আমাদেরকে ইসলামী আদর্শের দিকেই ফিরে আসতে হবে। তিনি শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ এবং তাদের রূহের মাগফিরাত কামনায় মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোয়া করেন ।
তিনি বলেন, মানবরচিত মতবাদ কখনো মানুষের জন্য কল্যাণকর হয় না। বিশ্ববাসী সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদ শাসন দেখেছে। এসব মানবরচিত আদর্শ মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। কেড়ে নিয়েছে গণমানুষের অধিকার। এরাই দিনের ভোট রাতে করে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এদের কারণেই দেশে পবিত্র রমজান মাসেও মূল্যবিস্ফোরণ ঘটেছে। তাই এসব অবিচারের প্রবক্তাদের আর সময় দেয়া যায় না। তিনি অসৎ ও অযোগ্য নেতৃত্বের পরিবর্তে সৎ ও যোগ্য লোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় সকলকে জামায়াতে ইসলামীর পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জামায়াতই এদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে সফল রাজনৈতিক দল। আমরা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গণমানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে এসেছি। জামায়াত মানুষের কল্যাণে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাসপাাতাল, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও দাতব্য চিকিৎসালয়সহ বিভিন্ন জনহিতকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে আর্ত-মানবতার কল্যাণে সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। মানুষের জন্য আমাদের এই কল্যাণকামীতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে-ইনশাআল্লাহ। মূলত, স্বাধীনতাকে স্বার্থক ও অর্থবহ করতে এবং জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে আবারও নতুন করে সংগ্রাম করতে হবে।
তিনি জনগণের ভোটাধিকার পুণঃপ্রতিষ্ঠায় নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। অন্যথায় জনগণ গণদাবি রাজপথেই আদায় করেই ছাড়বে ইনশাআল্লাহ।
এমআই