ইমরান খান আরও এক মামলায় অভিযুক্ত
Share on:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে আরও এক মামলায় (সাইফা মামলা) অভিযুক্ত করেছে আদালত। তার সঙ্গে পিটিআই এর ডেপুটি শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও একই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ডন ও খালিজ টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশিকে সরকারি গোপনীয় ক্রিয়াকলাপের মামলায় অভিযুক্ত করেছে পাকিস্তানের একটি আদালত।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভির খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে ইসলামাবাদের কাছে একটি কারাগারে বন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য আরেকটি ধাক্কা।
২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো সরকারি কোষাগারের পণ্য বিক্রি করা তথা তোশাখানা মামলা। এই মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের সাজা স্থগিত করেন। তবে সাইফার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি আদিয়ালা কারাগারে বন্দী পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান তার সমর্থক ও কর্মীদের জন্য বার্তা দিয়েছেন। ইমরান বলেছেন, তিনি আগের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ও সক্ষম অবস্থায় আছেন।
মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ শেয়ার করা বার্তায় পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, কারাগারের প্রথম কয়েক দিন খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, তাকে জেলের যে কক্ষে রাখা হয় সেটা ছিল পোকামাকড় এবং মশায় ভর্তি। সেখানে ঘুমানোর জন্য কোনো বিছানাও ছিল না।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, এরপর তিনি কারাগারের অবস্থার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেন। তিনি বলেন, আজকের ইমরান খান এবং ৫ আগস্ট কারাবন্দী ইমরান খানের মধ্যে দিনরাত্রির পার্থক্য রয়েছে। আজ আমি আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী ও সক্ষম অবস্থায় আছি।
পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আধ্যাত্মিক, মানসিক এবং শারীরিকভাবে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী অবস্থানে আছেন। তিনি কারাগারে নিয়মিত পবিত্র কোরআন ও অন্যান্য বই পড়ছেন।
ইমরান খান আরও বলেন, যারা আমাকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, তারা জেনে রাখুন যে আমি পাকিস্তানের সঙ্গে বাঁচব এবং মরব। আমি আমার দেশ ছেড়ে কোথাও যাব না।
এনএইচ