tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
প্রকাশনার সময়: ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৪:৩৯ পিএম

উড়ন্ত পাকিস্তানের মুখোমুখি পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া


অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান.jpg

উড়ন্ত পাকিস্তানের জয়রথ আজও অব্যাহত থাকবে কিনা, সেটাই সবার মনে প্রশ্ন। কারণ তাদের প্রতিপক্ষের নাম যে ‘অস্ট্রেলিয়া’। ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি অজিরা।


আরবের তপ্ত মরুর বুকে বিশ্বকাপ। উপমহাদেশের বড় দলগুলোই বিশ্বকাপে রাজ করবে, এমনটাই ধারণা করেছিলেন সবাই।

কিন্তু সবার আশাকে ভুল প্রমাণ করেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। উপমহাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বকাপের শেষ চারে টিকে আছে শুধু পাকিস্তান।

তবে শুধু অস্তিত্ব রক্ষা নয় চলমান আসরের সবচেয়ে দাপুটে দলটা বাবর বাহিনী।

আরব আমিরাতের মাটি তাদেরই ঘাঁটি। বিশ্বকাপেও যার জ্বলজ্বলে প্রমাণ দিয়ে চলছে পাকিস্তান।

এখন অব্ধি তারা বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজিত দল। এবং সন্দেহাতীতভাবে আজকের সেমিফাইনালেও পাকিস্তানই ফেভারিট।

পাক-অজি.jpg

এখন উড়ন্ত পাকিস্তানের জয়রথ আজও অব্যাহত থাকবে কিনা, সেটাই সবার মনে প্রশ্ন। কারণ তাদের প্রতিপক্ষের নাম যে ‘অস্ট্রেলিয়া’। ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি অজিরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি জয়ের হাহাকার বয়ে বেড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়ানরা। তাই তাদের ক্ষুধাও কম নয়।

এক ম্যাচ দূরেই ট্রফি জয়ের মঞ্চ। সর্বস্ব নিংড়ে দিয়েই লড়বে দুই দল।

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া.jpg

আজ বৃহস্পতিবার ( ১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল শুরু হবে

বিশ্বকাপের বড় মঞ্চ বিবেচনায় পাকিস্তানই অভিজ্ঞ। প্রথম দুই আসরে ফাইনাল খেলেছিল তারা, ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নও।

আজ পঞ্চমবার সেমিতে খেলতে যাচ্ছে পাকিস্তান। ১২ বছর পর আবারও ফাইনালের টিকিট অর্জনের সুযোগ নিশ্চয়ই হারাতে চাইবেন না শোয়েব মালিক-হাফিজরা।

অস্ট্রেলিয়া আজ চতুর্থবার সেমিতে খেলতে নামবে। ২০১০ সালে ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল তারা। ১১ বছরের খরা কাটানোর মিশন তাদের।

Pakistan.jpg

উভয় দল ২৩ বার টি-২০ তে মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে ১৩টি ম্যাচ জিতে এগিয়ে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়ার জয় ৯টি। বিশ্বকাপের মঞ্চে আবার সমানে সমান (৩-৩)। তবে শেষ সাক্ষাতে (২০১৬ সাল) জয়ী অজিরা।

ব্যাটিংয়ে বাবর আজম, রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি পাকিস্তানের বড় ভরসা। পরে হাফিজ, শোয়েব মালিক, আসিফ আলী আছেন।

বোলিংয়ে শাহীন শাহ আফ্রিদিই মূল অস্ত্র। স্টার্ক, হ্যাজেলউড, কামিন্সের মতো গতি তারকার সঙ্গে জাম্পার লেগ স্পিন বিপদে ফেলতে পারে পাকিস্তানকে।

ব্যাটিংয়ে ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, ম্যাক্সওয়েল ও অধিনায়ক ফিঞ্চের উপরই বেশি নির্ভরতা অস্ট্রেলিয়ার।

পাকিস্তান.jpg

সাজঘরের কারিগর হিসেবেও এই ম্যাচে থাকছে অজিদের দাপট। কারণ পাকিস্তানের নেপথ্যের নায়কও (ব্যাটিং কোচ) যে ম্যাথু হেইডেন।

সাবেক এ অস্ট্রেলিয়ানের ওপেনিং পার্টনার জাস্টিন ল্যাঙ্গার যে ফিঞ্চ-স্মিথদের কোচ। স্বল্পমেয়াদের দায়িত্ব হলেও হেইডেন পাকিস্তানকে ফাইনালে দেখতে চান।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তানের জন্য।

আমরা কাল (আজ) অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবো। তবে তাদের ট্রফি ক্যাবিনেটে নেই এই ট্রফি। তাই বড় একটা ম্যাচই আসছে আমাদের সামনে।’

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে বাজি ছিল কম লোকেরই। এখন তারাই সেমির মঞ্চে।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়াকে ‘আন্ডারডগ’ বলে ফিঞ্চকে খেপিয়ে দিলেন এক সাংবাদিক। উত্তরে ঝাঁজ মেশানো কণ্ঠে অজি অধিনায়ক বলেছেন, ‘পাকিস্তান দারুণ ক্রিকেট খেলেছে।

আমার মনে হয়, পাওয়ার প্লে’তে তারা ব্যাটে-বলে যেভাবে খেলছে, এটাই সাফল্যের মূল বিষয়। এই ফরম্যাটে শেষ কয়েকটা সিরিজ যদি আপনি দেখেন, সবাই আমাদের সুযোগ নেই ধরেছিল।

এখন আমরা সেমিতে। তাই আপনি যা ইচ্ছা পড়ে নিতে পারেন।’

আন্ডারডগের তকমা যে অস্ট্রেলিয়ানদের ভালো লাগে না, তা ফিঞ্চের কথায় স্পষ্ট। আর অজিদের তেতে উঠা পাকিস্তানের জন্য শুভ লক্ষণ নয়।

এইচএন