‘জটিল অভিযানে’ ১০ মাস পর গাজার সুড়ঙ্গ থেকে এক ইসরাইলি উদ্ধার
Share on:
গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরাইলিকে নিহতের পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। ১০ মাস পর গাজার সুড়ঙ্গ থেকে এক ইসরাইলি জিম্মিকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে ইসরাইল।
হামাসের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ওই ইসরাইলির নাম কায়েদ ফারহান আলকাদি।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ৫২ বছর বয়সি আলকাদিকে ভূগর্ভস্থ একটি টানেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা এটিকে ‘জটিল অভিযান’ বলে অভিহিত করেছে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর আরেব কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সেনারা আলকাদিকে যখন পায় তখন সে একাই ছিল। তারা টানেল থেকে তাকে উদ্ধার করে। আগের ঘটনাগুলো থেকে এবং উদ্ধার পাওয়া জিম্মিদের দেওয়া তথ্য থেকে যা জানা গেছে তা এই অভিযানের প্রস্তুতির অংশ ছিল।’
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আলকাদি ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের এক বেদুঈন সম্প্রদায়ের সদস্য। তিনি গাজা সীমান্তের কাছে ইসরাইলি এক কিব্বুতজে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। উদ্ধারের পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
আলকাদিকে যেখানে পাওয়া গেছে সেনারা সেখানে হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল। তারা একটি জটিল ভূগর্ভস্থ টানেলে ঢুকে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। টানেল সিস্টেমটিতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ও বিস্ফোরক থাকতে পারে এবং পাশাপাশি জিম্মিদের আটকে রাখা হতে পারে বলে সন্দেহ করছিলেন তারা।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে উদ্ধার হওয়া আলকাদির সঙ্গে কথা বলেছেন। জিম্মি উদ্ধারে ইসরাইলি সরকারের উপর চাপ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন সময় ইসরাইলে বিক্ষোভ হচ্ছে এ নিয়ে। অনেকে জিম্মি উদ্ধারে গাজায় যুদ্ধবিরতির কথাও বলেছেন।
তবে নেতানিয়াহুর দাবি, হামাসের হাতে আটক থাকা প্রত্যেক জিম্মিকে ফিরিয়ে আনতে ইসরাইল ‘নিরলসভাবে’ কাজ করে যাবে।
এনএইচ