ছাত্রশিবিরকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
Share on:
সরকারের অপপ্রচারের মিশনে যোগ দিয়ে সম্পূর্ণ বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে জাতীয় দৈনিক ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকা শনিবার (২৭ জুলাই) ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে ‘যুবলীগ কর্মীকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে জামায়াত-শিবির’ শিরোনামে যে প্রতিবেদন প্রকাশ এবংশিবির নেতাদের মোবাইল থেকে দেশবিরোধী ম্যাসেজ, ভয়েস ও তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে” শিরোনামে সময় টিভি যে খবর প্রচার করেছে তা সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এহেন উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, “অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক চালানো গণহত্যার প্রসঙ্গকে পাশ কাটিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে হাসিনা বাহিনী জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের ওপর মিথ্যা ও মনগড়া বয়ান তৈরি করার মিশনে নেমেছে। তার সুরে সুর মিলিয়ে জাতীয় দৈনিক ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ আজকের সংখায় (২৭ জুলাই) ‘যুবলীগ কর্মীকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে জামায়াত-শিবির’ শিরোনামে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা জাতির জন্য সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক! মিডিয়া তো জনগণের কথা বলবে, কিন্তু, বাংলাদেশ প্রতিদিন কর্তৃপক্ষ কেন সরকারের মূখপাত্রের ভূমিকা পালন করছে তা আমাদেও বোধগম্য নয়।
আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, উল্লিখিত ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা এই উদ্দেশ্যমূলক, মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এ প্রতিবেদন প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।”
নেতৃবৃন্দ বলেন, “বাংলাদেশ প্রতিদিনের মতো মিডিয়া কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা বোঝে না, এটা আমরা মনে করি না। প্রতিবেদন দেখে মনে হয়েছে তাদের ওপর সরকারের অপশক্তি ভর করেছে। তাই তারা নীতিবোধ ভুলে গিয়ে একটা নিয়মতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠনের ওপর অপবাদ ছড়াচ্ছে। এটা জাতির জন্য খুবই হতাশাজনক। এ ধরনের একপেশে আচরণ থেকে আপনারা বের হয়ে না এলে জনগণ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন।”
নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ প্রতিদিনের এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে বস্তুনিষ্ঠতার পরিচয় দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। সেইসাথে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা হিসেবে পেশাদার ভূমিকা পালন করার পরামর্শ দেন।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি