tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
শিক্ষা প্রকাশনার সময়: ১৫ জুন ২০২৩, ২১:১৯ পিএম

আদালতের রায় উপেক্ষা করে মানারাত ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত


৩৪

সম্প্রতি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আশুলিয়া এবং গুলশান ক্যাম্পাস নিয়ে বেশ আলোচনা এবং সমালোচনা হচ্ছে। ২০১৭ সালে স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে আশুলিয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সেখানে রয়েছে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী। স্থায়ী ক্যাম্পাস জেনেই তারা ভর্তি হয় আশুলিয়ায়।


কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এসে গুঞ্জন শুরু হয় গুলশান ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের। যে বিষয়টিকে কোনভাবেই মানতে পারছেন না বর্তমান এবং সাবেক ছাত্র ছাত্রীরা। বর্তমান ছাত্র ছাত্রীরা মুখ খুলতে পারছেন না কতিপয় শিক্ষকের ভয়ে। যে সকল শিক্ষকরা ইতোমধ্যে ছাত্র ছাত্রীদের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে রয়েছে সহযোগী অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, ফার্মাসির প্রধান ড. নারগিস সুলতানা, আইনের প্রধান আজহারুল ইসলাম হাবীব ( উল্লেখ্য আজহারুল ইসলাম হাবীব নারী কেলেঙ্কারি এবং নম্বরপত্র জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত) প্রক্টর আহমেদ মাহবুবুল আলম, ফার্মাসির সহকারী অধ্যাপক রিক্তা বানু ও আইনের সহকারী অধ্যাপক হোসনে আরা সহ কয়েকজন কর্মকর্তা।

তাদের প্রত্যেকের নামেই আদালত অবমাননার মামলা রুজু হওয়ার অপেক্ষায়। আর এতসব কাজের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসলামিক স্টাডিজের প্রধান ড. ওবায়দুল্লাহ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজন ছাত্র জানিয়েছে, গত ১২ জুন বিভাগীয় প্রধানদের এক মিটিং এ ড. ওবায়দুল্লাহ এবং ভিসির প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আশুলিয়া ক্যাম্পাস গুলশানে স্থানান্তরের বিষয়টি নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটি শীঘ্রই ক্যাম্পাস স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু করবে। গুলশানে স্থিতাবস্থা জারী থাকায় কমিটির সকলেই আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। এখানে উল্লেখ্য যে, আইনগত বৈধতা না থাকায় গুলশান ক্যাম্পাসের জমি নিয়ে মামলা চলমান।

আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হলে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে চলে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ট্রাস্টকে ভুল বুঝিয়ে এবং অন্ধকারে রেখেই আশুলিয়া ক্যাম্পাস স্থানান্তরের সকল কাজ দ্রুতই করার নির্দেশ দিয়েছেন ভিসি ও ড. ওবায়দুল্লাহ। এ খবর লিখা পর্যন্ত কমিটির আর কোন আপডেট পাওয়া যায়নি।

এমআই