tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ০৬ মে ২০২৪, ২০:০৬ পিএম

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড রোধে মনিটরিং কমিটি গঠন: পরিবেশ মন্ত্রণালয়


108598_sundoron

সুন্দরবনে পুনরায় অগ্নিকাণ্ড রোধে ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং এবং অগ্নিকাণ্ডে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি চিহ্নিত করতে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে বন অধিদপ্তর।


সোমবার বিকালে এক প্রেস রিলিজে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বন বিভাগের পক্ষ থেকে এখন ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি শনাক্ত করতে এই কমিটি গঠন করেছে বন অধিদপ্তর। বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো’কে সভাপতি এবং খুলনার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পরিবেশ অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি; সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. এস.এম ফিরোজ; আরণ্যক ফাউন্ডেশনের ম্যানগ্রোভ ইকোলজিস্ট এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের প্রফেসর ড. স্বপন কুমার সরকার এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি এর প্রতিনিধি। কমিটিকে আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে বনজসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিত ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়ন পূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাট এর আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের অন্তর্গত আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রণাধীন বনাঞ্চলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর যে সকল স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ছোট পরিসরে আগুন ও ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল রোববার সারা রাত বন কর্মীরা দলভিত্তিক নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্টের মাধ্যমে সব আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বন বিভাগের পক্ষ থেকে এখন ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং এর মাধ্যমে সোমবার তিনবার আগুনের ধোঁয়া শনাক্ত করে তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বর্গকিলোমিটার এলাকার অগ্নিকাণ্ডের কথা বলা হলেও প্রকৃত পক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপ্তি ছিল ৭.৯ একর। যার মধ্যে ৫ একর এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বনের আগুনের ক্ষেত্রে মাটির গভীরে গাছের শিকড়ের মধ্যেও আগুন থেকে যায়। যা পরবর্তীতে কয়েক ঘণ্টা পরে পুনরায় আগুনের বা ধোঁয়ার সূত্রপাত ঘটাতে পারে। সেজন্য যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার থেকে আগামী তিন দিন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে বন বিভাগের টহল দল আগুন মনিটরিং এবং কোন স্থানে নতুন কোন আগুনের সূত্রপাত ঘটলে তা নিভিয়ে ফেলার জন্য দায়িত্বরত থাকবেন। বর্তমানে ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিসের টিম মঙ্গলবারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকবেন। আগুন নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাওয়ায় কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি করছেন।

এমএইচ