tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
শিক্ষা প্রকাশনার সময়: ১৪ মার্চ ২০২২, ২০:৫২ পিএম

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ডসংখ্যক আবেদন


মেডিকেল

স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য এমবিবিএস (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ইতিহাসে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক ভর্তিচ্ছু অংশ নিতে যাচ্ছেন।


স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর (চিকিৎসাশিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখা) সূত্রে জানা গেছে, ১৩ মার্চ পর্যন্ত মোট এক লাখ ৪২ হাজার ৯১৬টি আবেদন জমা পড়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত এক লাখ ৪৫ হাজার আবেদন জমা পড়তে পারে।

গত বছর রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের (২০২০-২১) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৮৫৬ জন। কেন্দ্র ১৯টি হলেও এ বছর পরীক্ষার্থী বেশি হওয়ায় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে।

অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব সোমবার (১৪ মার্চ) বলেন, আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সার্বিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামীকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে আজ সোমবার (১৪ মার্চ) জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এ বছর ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাস নাকি পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব বলেন, এখনও পর্যন্ত গত বছরের মতো পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসেই ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত রয়েছে।

স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি মোট ১০৭টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এতে মোট আসন ১০ হাজার ৬৯৭টি। তার মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন চার হাজার ৩৫০টি এবং বেসরকারি ৭০টি মেডিকেল কলেজে আসন ছয় হাজার ৩৪৭টি।

অধিদপ্তর প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুসারে, গত বছরের মতো এবারও ১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রতিটির প্রশ্নের মান ১। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টায়। পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বর (মোট ১০০) থাকবে।

লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়। আগামীকাল (১৫ মার্চ) রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন ও ১৬ মার্চ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ফি জমা দেওয়ার শেষ সময়।

এমআই