tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ০৮ জুন ২০২৪, ১৮:৪২ পিএম

আনার হত্যায় আ.লীগ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে : ডিবি


harunbg-20240608181924

সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদকে আটক করা হয়েছে। তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


শনিবার (৮ জুন) দুপুরে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন,বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নেপালে আটক সিয়ামকে নিয়ে গেছে কলকাতা পুলিশ। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজন ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রয়োজনে ফের কলকাতা যাবে ডিবি পুলিশ।

গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তবে এখনও তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদে যদি তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

আনারের শরীরের উদ্ধার করা মাংসের ডিএনএ পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য এমপির পরিবারের সদস্যরা খুব দ্রুত ভারতে যাবেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া ভারতের তদন্ত কর্মকর্তারাও পরিবারের সদস্যদের নাম ও মোবাইল নম্বর নিয়েছেন। শিগগির তারা ডাকবে। যদি তারা ডাকে তবে ধরে নিতে হবে ডিএনএ টেস্টের জন্য ডেকেছে।

বাংলাদেশের সিআইডির ল্যাবে পরীক্ষা করা যায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি পরিবার সেখানে (কলকাতা) গেলে কম সময়ের ভেতরে হয়ে যাবে।

মূলহোতা আখতারুজ্জামান শাহীনকে ফেরানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাহীন নেপাল থেকে দুবাই হয়ে আমেরিকা চলে গেছে। ভারতে যখন ছিলাম সেখানকার পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে, বৈঠক হয়েছে। যেহেতু ভারতে হত্যা হয়েছে সেহেতু শাহীন তাদের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। আমরাও কাজ করছি তারাও কাজ করছে।

আমরা পুলিশ সদরদপ্তরের এনসিবি’তে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। তারা হয়ত ইন্টারপোলের কাছে এসব বিষয় জানিয়েছে। বাংলাদেশের অ্যাম্বাসির সঙ্গে আমরা কথা বলছি। তবে এইটুকু বলতে পারি আনার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যেখানে যেভাবে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

হারুন বলেন, সিয়ামকে ভারত নিয়ে গেছে। আনারকে হত্যা করে পৈশাচিক কায়দায় গুম করার বিষয়টি জানে সিয়াম ও জিহাদ। এ দুজনই এখন তাদের কাছে রয়েছে। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করলে ভালো ফল পাবে। প্রয়োজনে আমরাও সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। তবে সেটা ভার্চুয়ালি নাকি সশরীরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি।

তিনি বলেন, কাঠমুন্ডুতে গিয়ে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকে, মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে, সেখানে অপরাধের একটা রুট হয়ে গেছে। নেপালের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে গিয়েছি। সব তথ্যই নিয়ে এসেছি। আমরা মনে করি এটা আমাদের একটা অর্জন, কারণ আমরা তথ্য দিয়েছি। ভারতও কাজ করছে। দুই দেশের তদন্ত কর্মকর্তারা পারস্পরিক সহযোগিতা মাধ্যমে কাজ করার কারণে ভালো ফল আসছে। আমরা যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারাও দায় স্বীকার করেছে।

বাংলাদেশে গ্রেপ্তার আসামিদের ভারত নিয়ে যেতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কথা বলতে হবে। আমরা আগেও যখন ভারত গিয়েছিলাম তখন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গিয়েছিলাম।

এসএম