এক ম্যাচেই শেষ লিটনের আইপিএল অধ্যায়
Share on:
আইপিএল চলাকালে আজ দেশে ফিরে এসেছেন টাইগার উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাস। কলকাতা দলের মিডিয়া বিভাগ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জরুরি পারিবারিক কারণে লিটন দাসকে বাংলাদেশে ফিরে যেতে হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কার্যত এবারের আইপিএল অধ্যায় শেষ হয়ে গেল টাইগার এই উইকেটকিপার ব্যাটারের।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছিলেন লিটন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে যদিও আইপিএল অভিষেকটা সুখকর হয়নি। দুই ম্যাচ ডাগআউটে কাটানোর পর একাদশে জায়গা পেয়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থতো (৪ রান) হয়েছেনই সেই সঙ্গে বাজে উইকেটকিপিংয়ে তোপের মুখে পড়েন।
আর এরপরই বদলে যায় দৃশ্যপট। কেকেআর সমর্থকদের রোষানলে পড়েন টাইগার এই উইকেটকিপার ব্যাটার। এমনকী যে লিটনের বন্দনায় ব্যস্ত ছিল কলকাতার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলগুলো, হঠাৎ যেন সব উধাও। এরপর কলকাতা আরও দুই ম্যাচ খেললেও শুরুর একাদশে ছিল না লিটনের নাম।
দিল্লির বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচের পরই লিটনের চলতি আইপিএল অধ্যায়ের ইতি টেনেছিলেন অনেকেই। অবশ্য খুব বেশি খেলার সুযোগও পেতেন না। আগামী মাসের ৫ তারিখ ইংল্যান্ডের চোমসফোর্ডে যোগ দেওয়ার কথা ছিল লিটনের। এর আগে কেবল একটি মাত্র ম্যাচ রয়েছে কলকাতার। আগামীকাল (শনিবার) গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে নিজেদের পরের ম্যাচে নামবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তার আগেই আজ দেশে ফিরে এসেছেন লিটন। এবারের মতো শেষ হলো লিটনের আইপিএল যাত্রা।
এর আগে লিটনের অনাপত্তিপত্র নেওয়া ছিল ২ মে পর্যন্ত। পরবর্তীতে আরো ২ দিন তিনি ছুটি বাড়িয়ে নেন। তবে সেই নিদিষ্ট সময়ের আগেই পারিবারিক কারণে দেশে ফিরলেন তিনি।
আইপিএল খেলতে দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকে লিটন দাস বলেছিলেন, ‘আমি জানি না ওখানে গিয়ে খেলব কি না এবং খেললে ভালো খেলব কি না এটার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু এটা একটা শেখার প্রক্রিয়া। অবশ্যই আমি ২০-২৫ দিন যে কয়দিনই থাকব, সবগুলো মাঠ সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার। ভবিষ্যতে কাজে দেবে।’ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগটাকে শেখার মঞ্চ হিসেবে নিয়েছিলেন লিটন। আর তাই জাতীয় দলের ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও বিরতির সময়গুলোতে খেলতে চেয়েছিলেন। যদিও বাজে ফর্ম ছাড়াও কম্বিনেশনও একটা ফ্যাক্ট লিটন একাদশে সুযোগ না পাওয়ার পেছনে।
দলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য লিটনকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও শোনা গেছে। পেস বোলার নিয়ে সমস্যায় পড়েছে কেকেআর। লকি ফার্গুসন এবং টিম সাউদি দু'জনই ব্যর্থ হচ্ছেন। সেই সঙ্গে আন্দ্রে রাসেলও ছন্দে নেই। তাই পেস বোলার এবং ফিনিশার হিসেবে সর্বশেষ ম্যাচে ডেভিড ওয়াইজিকে নেওয়া হয়।
তবে লিটনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এই ধরনের পরিস্থিতি এবারই নতুন নয়। জাতীয় দলের হয়েও তিনি মুখোমুখি হয়েছেন বাজে দুঃস্বপ্নের। সে সময় কত তীর্যক মন্তব্য ও সমালোচনা সামলে লিটন নিজের জাত চিনিয়েছেন। ফলে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটারদের একজন হয়ে ওঠেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
এমআই