তাকওয়াপূর্ণ জাতি সমাজের দূর্যোগ দূর করতে সক্ষম : ড. মাসুদ
Share on:
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কি লাভ হবে? যদি বাবা মা বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন। যিনি আল্লাহর হক আদায়ে প্রস্তুত নন, তিনি কোন অবস্থাতেই বাবা-মা, ভাই-বোন ও পাড়া-প্রতিবেশি তথা সাধারণ জনগণের হক আদায় করবে না। তাই তাদেরকে নেতৃত্বে বসানো বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জননেতা ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ রাজধানীর কদমতলী এলাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পথশিশু ও দুস্থ অসহায় নারী-পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি ) জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কদমতলী দক্ষিণ থানার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য ও কদমতলী দক্ষিণ থানা আমীর ইঞ্জি. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি আবু তাসনীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কদমতলী মধ্য থানা আমীর মহিউদ্দিন সহ কদমতলী দক্ষিণ থানার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা। তাকওয়াপূর্ণ একটা দেশ ও জাতি তৈরী করতে পারলেই আল্লাহ আমাদের উপর থেকে সকল দূর্যোগ দূর করে দেবেন ইনশাআল্লাহ।
তাই আমাদের সন্তানদের ইসলামের সুমহান আদর্শের ভিত্তিতে আল্লাহভীরু করে গড়ে তুলতে হবে। জামায়াতের নিয়মিত সমাজকল্যাণ মূলক কাজের অংশ হিসেবে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমরা দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাঘবের অংশ হিসেবে সামান্য কিছু উপহার নিয়ে ছুটে এসেছি।
এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে এসব অবহেলিত পথশিশুদের জন্য আমাদের স্কুল পরিচালিত হচ্ছে, তাদের মাঝে খাদ্য প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বঞ্চিত শিশুদের জন্য আমাদের শিক্ষা উপকরণ প্রদান এবং অভিভাবকদের জন্যও আমাদের সাধ্যমত সহযোগিতা অব্যহত আছে। তিনি বলেন, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কি লাভ হবে? যদি বাবা মা বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন।
অন্যদিকে যিনি আল্লাহর হক আদায়ে প্রস্তুত নন, তিনি কোন অবস্থাতেই বাবা-মা, ভাই-বোন ও পাড়া-প্রতিবেশি তথা সাধারণ জনগণের হক আদায় করবে না। তাই তাদেরকে নেতৃত্বে বসানো বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়।
ড. মাসুদ আরও বলেন, এই পৃথিবীর সমস্ত রাজত্ব কেবলমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার। আর আমরা মানুষেরা তার প্রতিনিধি হিসেবে শুধুমাত্র সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করছি।
সুতরাং আমরা যারা দিচ্ছি বা নিচ্ছি তাদের অহংকার করার কিছু নেই। কারণ পৃথিবীর সবই আল্লাহর। আল্লাহর দৃষ্টিতে বড়-ছোট, মাঝারি-প্রান্তিক, পথশিশু এসবের কোন মর্যাদা নেই।
অন্যদিকে আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান হচ্ছেন তিনি যিনি তাকে অধিক ভয় পান, যিনি তার দেওয়া হুকুম ও বিধান মেনে চলেন।
বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী পরকালীন জবাবদিহীতার চিন্তা নিয়ে সকল মানুষের জন্য একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। আমাদের দিক নির্দেশনার জন্য রয়েছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন। যেখানে মানবজাতির কল্যাণ ও মুক্তির সকল দিক নির্দেশিত রয়েছে।
তিনি জামায়াতে ইসলামীর ডাকে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান। ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি )
এইচএন