tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ২৭ মে ২০২৩, ১৬:৩২ পিএম

নতুন মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে বিব্রত নয় সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


9

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে সরকার বিব্রত নয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজ দায়িত্বে ভিসা দিয়ে থাকে এবং এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’ শনিবার (২৭ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সবসময় ভিসা তাদের নিজের দায়িত্বে দেয়, এটিই চলে আসছে। এতে প্রভাব পড়বে না। তবে আমি খুশি যে, তারা বলেছে, প্রধানমন্ত্রী অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চান, সেটিই সাহায্য করার জন্য তারা তাদের এই ভিসানীতি প্রচলন করেছে।’ যদি এই আইনের কারণে জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হয়, তা আশীর্বাদ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ভিসানীতি পরিবর্তনের জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও আবেদন করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের আবেদন করার কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা একটি সুন্দর, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার— সেই ইনস্টিটিউশন ডেভেলপ করেছি। আমরা একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করব। সেখানে অন্য লোক সাহায্য করেন ভালো। না করলেও ইউ আর কমিটেড টু ইট।’

নতুন নীতির কারণে অর্থপাচারও কমবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভিসা (যুক্তরাষ্ট্রের) বড়লোকেরা নেয়। আর যারা গরিব লোক, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট হয়, তারা তো ভিসার জন্য আসেই না। সরকারি কর্মচারী, কিছু বড় ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনীতিবিদ তাদের ভিসার দরকার হয়; যাদের ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়ে, বিদেশে বাড়ি বানিয়েছেন, যারা টাকা পাচার করেছেন। এতে হয়তো আশা করি টাকা পাচার কমবে। কারণ ওনারা নিয়ে গিয়ে তো স্থাপনা তৈরি করেন।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা পলিসি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ মে এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন জানান, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তার জন্য নতুন এই পলিসির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

নতুন পলিসি অনুযায়ী, বাংলাদেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করলে বা তাতে সহায়তা করলে যে কোনও ব্যক্তিকে আর ভিসা নাও দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। যাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের কর্মরত কিংবা সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি বা বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরাও রয়েছেন।

এবি