tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ৩১ মে ২০২২, ১০:২৩ এএম

রুশ তেল-গম কিনতে দিল্লির ‘বুদ্ধি’ চায় ঢাকা


Foreign Minister-2022

রাশিয়া বাংলাদেশকে তেল ও গম দিতে আগ্রহী হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ভয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ঢাকা।


চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেও দেশটি থেকে জ্বালানি কিনছে ভারত। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশও মস্কোর নিকট থেকে তেল-গম কিনবে কি না, এ বিষয়ে দিল্লির কাছে ‘বুদ্ধি’ চেয়েছে ঢাকা।

সোমবার (৩০ মে) এ তথ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে নদীবিষয়ক এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে দেশে ফিরেই তিনি এ তথ্য জানান। ওই সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথেও ড. মোমেনের আলোচনা হয়েছে।

দুই প্রতিবেশীর দেশের বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। তারা জ্বালানি সমস্যা সামাল দেওয়ার জন্য কাজ করছে।

‘রাশিয়া আমাদের কাছে তেল বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে। তারা আমাদের কাছে গমও বিক্রি করতে চায়। কিন্তু আমরা তো ভয়ে, ওই নিষেধাজ্ঞার (রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা) ভয়ে... ভারতের কাছে জানতে চেয়েছি তোমরা কীভাবে করেছো। তোমরা তো নিচ্ছো। সেটা তারা বলেছে।

জ্বালানির ক্ষেত্রে যে সমস্যা সেটা তো আমাদের জন্য সত্যিকারের একটি সমস্যা। এ নিয়ে আমরা ভয়ে আছি। তাই আমরা তাদের কাছে বুদ্ধি চাই। বিশেষ করে তারা সেটা (রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও গম কেনা) কীভাবে করছে’- বলেন ড. মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তারা কীভাবে পরিস্থিতি (রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও গম কেনা) সামাল দিয়েছে। তারা বড় দেশ, তারা ম্যানেজ করতে পারে। তারা কোনো পদক্ষেপ নিলে কেউ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় না। আমরা তো দরিদ্র, ছোটখাটো দেশ, আমাদের ওপর মাতব্বরি একটু বেশি।

তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমাদের তো এনার্জি দরকার। এটা আমাদের বড় সমস্যা। তারা (পশ্চিমারা) কথায় কথায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। দেখেন না, তারা প্রতিদিনই কিছু না কিছু আবদার নিয়ে আসে। আমরা তাদের বলতাম ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। এখন উন্নয়নের জন্য এক পয়সাও দেয় না। বরং ডেভেলপমেন্ট যেন বাধাগ্রস্ত হয়, সেজন্য চেষ্টা করছে। খালি আসে বুদ্ধি দিতে। আপনারাও তাদের উৎসাহ দিতে থাকেন।

ড. মোমেন বলেন, অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। সেগুলো তো গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্যই আমরা ভারতের সঙ্গে আলাপ করেছি।

আঞ্চলিক কিছু সংগঠন গড়ে তোলা, যেন সমস্যা হলে আমরা সামাল দিতে পারি। এটা আমরা আলাপ করেছি। আঞ্চলিকভাবে আমরা স্থিতিশীলতা কীভাবে অর্জন করতে পারি, তা নিয়ে আলাপ করেছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমেরিকা এখানে কী একটা করছে। পশ্চিমারা, ইউরোপিয়ানরা আগে নিজেদের ঘর সামলাক। তাদের দেশে মুদ্রাস্ফীতি চারগুণ বেড়েছে। আমাদের প্রবাসীরা, যারা আমেরিকায় আছেন, তারাও সামলাতে পারছেন না।

এইচএন