যে কারণে মস্কোতে এই ভয়াবহ হামলা
Share on:
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় কনসার্ট হলে মুখোশ পরা বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে।
এই হতাহতের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ঘটনার পর নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক পোস্টে আইএসের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। খবর সিএনএনের।
মস্কোয় ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকারের পর আইএস-কে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স। সেখানে গোষ্ঠীটির উত্থান ও মস্কোয় হামলার কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
- আইএস-কে কারা?
ইরান, তুর্কমেনিস্তান ও আফগানিস্তানের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত খোরাসান অঞ্চলে (পুরনো নাম) সক্রিয় থাকা একটি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট খোরাসান’ বা আইএসকে। মূলত ২০১৪ সালের শেষের দিকে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে এর উত্থান। চূড়ান্ত পর্যায়ের নৃশংসতা দেখিয়ে কম সময়েই বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে গোষ্ঠীটি।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের সবচেয়ে সক্রিয় আঞ্চলিক সহযোগীর একটি আইএস-কে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ২০২১ সালে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর দেশটিতে আইএস-কের মতো গোষ্ঠীগুলোর বিষয়ে ওয়াশিংটনের গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করার সক্ষমতায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
- রাশিয়ায় হামলা করল কেন?
মস্কোয় এই ভয়াবহ হামলাকে আইএস-কের সহিংস কর্মকাণ্ডে এক নাটকীয় বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গোষ্ঠীটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করে আসছিল। এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সোফান সেন্টারের কলিন ক্লার্ক বলেন, ‘দুই বছর ধরেই রাশিয়াকে নিশানা করেছে আইএসকে। তারা তাদের প্রচারণায় প্রায়ই পুতিনের সমালোচনা করে আসছে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক অপর একটি প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, রাশিয়াকে নিয়মিতভাবে মুসলিমবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা একটি দেশ হিসেবে দেখে থাকে আইএস-কে। তারা মস্কোর বিরুদ্ধে নিজস্ব অভিযোগের পক্ষে মধ্য এশিয়ার কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকেও নিজেদের সদস্যের মতো বিবেচনা করে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। এ সময় তারা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা গেছে, হামলাকারীরা গুলি করার পাশাপাশি বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে। এতে ক্রোকাস সিটি হলে আগুন ধরে যায়। ফলে হলের ছাদও ধসে পড়েছে। আর এ ঘটনার পর দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
এনএইচ