তিস্তার পানি লালমনিরহাটে বিপৎসীমার ওপরে, শঙ্কায় কৃষক!
Share on:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যার পানিতে ফসলহানীর শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৬ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.২৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার .১৩ সেন্টিমিটার ওপরে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়কদিনের গরমের পর টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বেড়ে হাতীবান্ধার কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এদিকে লালমনিরহাটের ৫ টি উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়া ফসলের খেত বন্যার পানিতে ডুবে ফসলহানীর শঙ্কায় করছেন কৃষকরা। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি হওয়ার ফলে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আলম জানান, হঠাৎ করে তিস্তার পানি বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। তীরবর্তী মানুষদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের তালিকা করে ত্রাণ দেওয়া হবে।
তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) আসফাউদ্দৌলা জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার ফলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ৪৪ টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পানিবন্দি পরিবারদের তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। তালিকা হয়ে গেলে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।
এন