১২ দেশের মুদ্রা ৯টি পাসপোর্টসহ গ্রেফতার করা হয় আনিসুল-সালমানের
Share on:
মঙ্গলবার পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজধানীর সদরঘাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের তল্লাশি করে এসব মুদ্রা ও পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
বুধবার নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক মো. সজীব মিয়া এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- সালমান এফ রহমানের কাছে থেকে ১২ হাজার ৬২৪ ইউএস ডলার, ৬২০ সুইস ফ্রাংক, সাড়ে আট হাজার দিরহাম, ১৩ লাখ উজবেকিস্তানের সোম, ১১ হাজার ৬৫০ রিয়াল, ৭৭৯ সিঙ্গাপুরের ডলার, দেড়শ পাউন্ড, এক হাজার ৩২১ ইউরো, ৫০ হাজার টাকা,
ছয় হাজার ২৩০ ভুটানের গুলট্রাম, এক হাজার রুপি, তিন হাজার ৩২০ থাইল্যান্ডের বাথ মুদ্রা জব্দ করা রয়েছে। পাশাপাশি তার কাছে থেকে সবুজ রঙের ৫টি ও একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। এছাড়া আনিসুল হকের কাছে থেকে ১৭ হাজার ৫১২ ইউএস ডলার, ৭২৬ সিঙ্গাপুরের ডলার এবং ৩টি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
সালমান এফ রহমান ও আনিসুলকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদের আদালত তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন।
এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী শাহজাহান আলী নিউমার্কেট থানার মিরপুর রোডের বলাকা সিনেমা হলের গলির মুখে পাপোশের দোকানে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো গত ১৬ জুলাই সকাল ৯টার দিকে দোকানে কাজ করার জন্য আসেন।
ওই দিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা একজন মামলার বাদীকে মোবাইলে কল দিয়ে জানান যে, শাহজাহান আলী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহজাহানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি।
এসএম