বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি পরিবর্তনে সহায়তা দেবে ইফাদ
Share on:
ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনতে অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ইফাদ-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জন্য ইফাদের নবনিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ভ্যালানটাইন আচাঞ্চো গত বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করার সময় এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে ড. আচাঞ্চো বলেন, ইফাদ কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, গ্রামীণ আয় বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, নারী ও যুবকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার উন্নতি ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ড. ভ্যালানটাইন আচাঞ্চো বলেন, ‘কৃষি ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে কৃষি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য সরকার, আমাদের অংশীদার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতা করতে পেরে আমি অভিভূত।’
ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর আরও বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে পারি।’
বাংলাদেশে আসার আগে আচাঞ্চো ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ইফাদ কান্ট্রি ডিরেক্টর ও প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এর আগে নাইজার, বুরকিনা ফাসো এবং চাদে একই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বাংলাদেশে কান্ট্রি ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালনকালে আচাঞ্চো অবকাঠামো ও জলবায়ু-স্মার্ট কৃষির মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীতে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা জোরদার, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিকদের জন্য অর্থ, প্রযুক্তি ও বাজার প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করতে ও গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারি কর্মসূচি জোরদারে কাজ করবেন।
ড. ভ্যালানটাইন আচাঞ্চো বলেন, ‘আমি আমাদের অংশীদারদের সাথে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন করতে, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই জীবিকা গড়ে তুলতে সক্ষমতার জন্য কাজ করবো।’
ড. আচাঞ্চো গ্রামীণ জীবনযাত্রার উন্নতি করতে ক্যামেরুন ও গ্যাবনে ইফাদ কান্ট্রি প্রোগ্রাম অফিসার এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলের প্রোগ্রাম অফিসার হিসাবেও কাজ করেছেন, সাহেল ও কঙ্গো অববাহিকায় গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে অবদান রেখেছেন, সহ-অর্থায়ন জোগাড় করেছেন এবং সরকার, দাতা ও নাগরিক সমাজের সাথে অংশীদারিত্ব জোরদার করেছেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে ইফাদ-এর প্রোগ্রামটি তার বৃহত্তম প্রোগ্রামগুলোর একটি। বাংলাদেশে বর্তমানে ছয়টি চলমান প্রকল্পে ইফাদের ৫১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এগুলো বাস্তবায়ন করছে।
এমএইচ