আন্তর্জাতিক চাপে রাশিয়ার পরমাণু হুমকি হ্রাস পেয়েছে: জার্মানি
Share on:
ইউক্রেনে যুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার ঝুঁকি কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। তার দাবি, আন্তর্জাতিক চাপের কারণে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ওলাফ শলৎস এই মন্তব্য করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রযটার্স।
অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের উত্তরসূরী হিসেবে জার্মান চ্যান্সেলরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ওলাফ শলৎস। সেই দায়িত্বে আসার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবাদমাধ্যম ফানকে-তে একটি সাক্ষাৎকারে দেন তিনি। সেখানে জার্মান এই চ্যান্সেলর বলেন, ইউক্রেনের এই যুদ্ধটি ‘সীমাহীন বর্বরতার’ সাথে অব্যাহত ছিল। যদিও আপাতত একটি বিষয় পরিবর্তিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এঁকে দেওয়া সীমারেখার কারণেই দেশটি এটি করেছে।’
জার্মান এই নেতা আরও বলেন, গভীর বিভাজন থাকা সত্ত্বেও ক্রেমলিনের সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রাখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এর আগে বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, পরমাণু হামলার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া ‘পাগল হয়ে যায়নি’ এবং প্রথমে কখনও পরমাণু হামলা চালাবে না।
ওলাফ শলৎস বলেন, পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং এরপরই তিনি ইউরোপে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে রাশিয়ার সাথে কথা বলতে প্রস্তুত থাকবেন। ইউক্রেন যুদ্ধের আগেও তার এই একই প্রস্তাব ছিল।
এদিকে রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনের প্রতি জার্মানির দেওয়া সহায়তাকে সমর্থন করে শলৎস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পর, অস্ত্র সরবরাহসহ ইউক্রেনের অন্যতম বড় সহায়তা দানকারী দেশ জার্মানি। যদিও জার্মানির সহায়তা বেশ অল্প বলে কিয়েভ এবং ইউরোপের অন্যত্র সমালোচকরা দাবি করে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ ঠেকাতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এই ধরনের সংঘাতে সারা বিশ্বে শুধুমাত্র পরাজয়ই ডেকে আনবে।’
শলৎস বলেন, ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে তার দেশ শীতকালে ভালোভাবে অতিক্রম করবে বলে তিনি আশা করেন। এছাড়া শক্তিশালী এবং সফল শিল্প জাতি হিসাবে জার্মানি টিকে থাকবে কারণ দেশটি রুশ জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনছে।
আগামী নির্বাচনে আবারও চ্যান্সেলর পদে দাঁড়াবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই’।
এমআই