ইউক্রেন সীমান্তে বাড়ছে রুশ সেনা, তুঙ্গে সমরসজ্জা
Share on:
মার্কিন সংস্থাটির প্রকাশিত বেশ কিছু ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ক্রিমিয়ার একটি রুশ সেনাঘাঁটিতে শয়ে শয়ে সাঁজোয়া গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। রয়েছে কয়েক শ’ ট্যাঙ্ক, কামান, রকেট লঞ্চার ও মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। যে চিত্র পাওয়া গেছে তাতে স্পষ্ট ওই সেনঘাঁটিতে তুঙ্গে সমরসজ্জা।
ইউক্রেন সীমান্তে দ্রুত বাড়ছে রুশ সেনার জমায়েত। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে মিলেছে আসন্ন যুদ্ধের ইঙ্গিত! যেকোনো মুহূর্তে হামলার আশঙ্কা আরো বাড়িয়ে উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে ক্রমে সীমান্তে সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করছে মস্কো।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের বেশ কিছু উপগ্রহ চিত্র তুলেছে আমেরিকার একটি বেসরকারি সংস্থা ‘Maxar Technologies’।
ওই ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রিমিয়া ও ইউক্রেন সীমান্তের কাছে একাধিক জায়গায় জমায়েত ক্রমে বাড়িয়ে চলেছে রুশ সেনাবাহিনী।
গত বৃহস্পতিবার ( ২৩ ডিসেম্বর) মার্কিন সংস্থাটির প্রকাশিত বেশ কিছু ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ক্রিমিয়ার একটি রুশ সেনাঘাঁটিতে শয়ে শয়ে সাঁজোয়া গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। রয়েছে কয়েক শ’ ট্যাঙ্ক, কামান, রকেট লঞ্চার ও মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম।
ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ পর্যন্ত যে চিত্র পাওয়া গেছে তাতে স্পষ্ট ওই সেনঘাঁটিতে তুঙ্গে সমরসজ্জা। অথচ, গত অক্টোবর মাসের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল যে সেনঘাঁটিটি প্রায় ফাঁকা।
এদিকে, ইউক্রেন সীমান্তে সমরসজ্জা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্পষ্ট ভাষায় বলেন, মস্কো যা করছে তা জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই করছে।
একইভাবে, বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, তিনি সংঘর্ষ এড়াতে চান। তবে রাশিয়ার নিরাপত্তার স্বার্থে আমেরিকা ও ন্যাটো জোটের দেশগুলোকে আশ্বাস দিতে হবে।
আগামী জানুয়ারি মাসে জেনেভায় মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় বসা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য,, কয়েক দিন আগেই ইউক্রেনের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স তথা সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কিরইয়োল বুদানভ জানান, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৯২ হাজার সেনা মজুত করেছে রাশিয়া।
মার্কিন পত্রিকা ‘মিলিটারি টাইমস’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বুদানভের দাবি, আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে হামলা চালাতে পারে মস্কো।
শুরুতে রুশ যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী ইউক্রেনের সামরিক পোস্টগুলোতে হামলা চালাবে। তারপর আসবে রুশ পদাতিক বাহিনী। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
এইচএন