tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
মতামত প্রকাশনার সময়: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১০:৫৬ এএম

উৎপাদন না বাড়লে খাদ্যের দাম আরও বাড়বে


উৎপাদন

আবদুল লতিফ মন্ডল: যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) চলতি বছর বাংলাদেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন, চাহিদা, আমদানি ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর চালের উপাদন ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টনে দাঁড়াতে পারে।


এরপরও এ বছর ১ কোটি ৫ লাখ টন চাল, গম ও ভুট্টা আমদানি করতে হবে। এর মধ্যে চাল, গম ও ভুট্টার পরিমাণ হলো যথাক্রমে ৭ লাখ টন, ৭৫ লাখ টন এবং ২৩ লাখ টন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্যশস্য, বিশেষ করে গম আমদানি কঠিন হবে। দামও বেশি দিতে হতে পারে।

চলতি বছর বাংলাদেশের মানুষের জন্য মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ টন চাল দরকার হবে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ শতাংশ বেশি। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ইউএসডিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি মোটা চালের গড় দাম ছিল ৩২ টাকার কিছু বেশি। সেই চালের দাম এ বছর হয়েছে ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ দুই বছরের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ। আর প্রতি কেজি সরু চালের দাম ৬৬ থেকে ৭২ টাকা, যা মধ্যবিত্তের ওপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করেছে।

অন্যদিকে আমাদের খাদ্যশস্যে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গমের উৎপাদন গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষদিকের তুলনায় অনেক কমে গেছে এবং পণ্যটির চাহিদা মেটাতে আমাদের মূলত আমদানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম এখন আকাশছোঁয়া। সব ধরনের খাদ্যশস্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিতে নিম্নবিত্ত, গরিব ও অতি গরিবদের জীবন সংকটে, আর মধ্যবিত্ত দুর্দশায়। খাদ্যশস্যের দাম আরও বেড়ে গেলে তা এসব মানুষের জীবনে কী করুণ অবস্থা সৃষ্টি করবে এবং এ অবস্থা থেকে তাদের কীভাবে স্বস্তি দেওয়া যেতে পারে তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

এটা ঠিক, স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের প্রধান খাদ্য চালের উৎপাদন তিনগুণের বেশি বেড়েছে। স্বাধীনতার সময়কালের কমবেশি এক কোটি টন চালের উৎপাদন বর্তমানে সাড়ে তিন কোটি টন ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের তুলনায় চাল উৎপাদনে নিম্ন প্রবৃদ্ধি হার, বীজ হিসাবে সংরক্ষণ, পশুখাদ্য হিসাবে ব্যবহার এবং কাটা-মাড়া থেকে শুরু করে খাবার হিসাবে পরিবেশন পর্যন্ত অপচয় প্রভৃতি কারণে উৎপাদিত চালে আমাদের চাহিদা মিটছে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও অন্যান্য রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১১-১২ থেকে ২০১৫-১৬ সময়কালে চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হার ছিল শূন্য দশমিক শূন্য থেকে ১ শতাংশের মধ্যে। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছর বাদ দিলে ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হার নেতিবাচক থেকে ১ দশমিক ৩০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। চাল উৎপাদনের এ প্রবৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের (১ দশমিক ৩৭ শতাংশ) চেয়ে কম।

দ্বিতীয়ত, কাটা-মাড়া থেকে শুরু করে খাবার হিসাবে পরিবেশন পর্যন্ত পণ্যটির বিপুল পরিমাণে অপচয় হয়। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, দেশে পণ্যটির উৎপাদন পর্যায়েই নষ্ট হচ্ছে এক-পঞ্চমাংশ। ব্রির ‘ডাবলিং রাইস প্রডাক্টিভিটি ইন বাংলাদেশ : আ ওয়ে টু অ্যাচিভিং এসডিজি ২ অ্যান্ড মুভিং ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বণিক বার্তায় ৩ সেপ্টেম্বর (২০২১) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১-১৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে শুধু উৎপাদন পর্যায়েই ধানের গড় ফলন নষ্ট হয়েছে ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর ২০১৬-২০ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে নষ্ট হয়েছে ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। তাছাড়া দেশের ৫৫-৬০ হাজার হোটেল-রেস্তোরাঁয় নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ খাদ্য, যার মূল্য হবে কোটি কোটি টাকা। এসব কারণে আমাদের প্রায় প্রতিবছর বেশকিছু পরিমাণ চাল উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হচ্ছে।

প্রধান খাদ্য চালের মূল্যস্ফীতিতে জনসাধারণ উদ্বিগ্ন। একটি পরিবারে মাসিক যে ব্যয় হয়, তার প্রায় অর্ধেক চলে যায় খাদ্য সংগ্রহে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হায়েস) ২০১৬ মোতাবেক, জাতীয় পর্যায়ে একটি পরিবারের মাসিক মোট আয়ের ৪৭ দশমিক ৭০ শতাংশ খরচ হয় খাদ্যে। গরিব ও অতি গরিব পরিবারগুলোর ক্ষেত্রে মাসিক মোট আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় হয় খাদ্যের পেছনে।

আবার তাদের চাল ভোগের পরিমাণও অন্যদের চেয়ে বেশি। যখন দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চালের মাথাপিছু দৈনিক ভোগ ৪৭০ গ্রাম, তখন অন্যদের ক্ষেত্রে তা ৩৬৬ গ্রাম। প্রধান এ খাদ্যপণ্যটির মূল্যস্ফীতিতে তারা ভোগেন সবচেয়ে বেশি। বিআইডিএসের এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাদ্য-মূল্যস্ফীতি বাড়লে ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ হতদরিদ্র পরিবার চালের ভোগ কমিয়ে দেয়। দরিদ্র পরিবারের বেলায় এ হার ৬৬ শতাংশ। তাই মোটা চালের দাম উচ্চহারে বৃদ্ধি পেলে তাদের খাদ্যনিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়ে।

শুধু দরিদ্র ও হতদরিদ্ররাই নন, চালের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হন মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরাও, বিশেষ করে যাদের আয় নির্দিষ্ট। চালের দামে ঊর্ধ্বগতির কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তদের আমিষজাতীয় খাবার কেনা অনেকটা কমিয়ে দিতে হয়। এতে তাদের পরিবারে, বিশেষ করে শিশু ও মহিলাদের পুষ্টির অভাব ঘটে। এতে অবনতি ঘটে তাদের স্বাস্থ্যের। তাছাড়া এসব পরিবারকে কমিয়ে দিতে হয় শিক্ষা খাতে ব্যয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষার্থীরা। সংকুচিত করতে হয় তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই খাদ্যের, বিশেষ করে চালের মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ হিসাবে দেখা দেয়।

দেশে খাদ্যশস্যের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গমের বার্ষিক চাহিদা কমবেশি ৭০ লাখ টন। আর দেশে উৎপাদিত গমের পরিমাণ ১২-১৩ লাখ টনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই দেশে গমের চাহিদা মেটানোর প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে আমদানি। এফএও-এর হিসাব মোতাবেক বিশ্বের যে কয়টি দেশে সবচেয়ে দ্রুত হারে গমের আমদানি বাড়ছে, এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। গত কয়েক বছরে গম আমদানির তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশে গমের মোট চাহিদার পাঁচ ভাগের চার ভাগ মেটানো হয়েছে আমদানির মাধ্যমে। ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি করা গমের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫৬ লাখ ৯ হাজার, ৫৭ লাখ ৭৯ হাজার ৫৫ লাখ ৩৬ হাজার এবং ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার টন (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১)। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৩ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ টন গম আমদানি হয়েছে বলে অন্য এক সূত্রে জানা যায়। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১ সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে গম আমদানিতে ব্যয় হয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৪৯৪, ১ হাজার ৪৩৬ এবং ১ হাজার ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যসচেতনতার কারণে বেড়ে চলেছে গমের ব্যবহার। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত-সব শ্রেণির ভোক্তার খাদ্য তালিকায় গম তথা আটা-ময়দা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। একদিকে দেশে গমের চাহিদা বাড়ার কারণে আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধিতে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির আকাশছোঁয়া দামে ভোক্তারা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাছাড়া উচ্চমূল্যে পণ্যটির আমদানি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে।

গত দুই বছরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশে কর্মসংস্থানে মূল ভূমিকা পালনকারী বেসরকারি খাতে চাকরিচ্যুতি, বেতন/মজুরি হ্রাস এবং অন্যান্য কারণে মানুষের আয় কমেছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ পরিচালিত ‘স্টেট অব দ্য গ্লোবাল ওয়ার্কপ্লেস ২০২১’ অনুযায়ী, করোনার সময় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৫৫ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে। দেশের কয়েকটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান/সংস্থার প্রতিবেদনে এসেছে করোনার কারণে দেশে দারিদ্র্যহার বেড়ে ৩৫ থেকে ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর বিবিএসের তথ্যের বরাত দিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান সম্প্রতি দেখিয়েছেন, ২০১০-১১ অর্থবছরে বিবিএসের মজুরি সূচক ছিল ১০০ পয়েন্ট, যা ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। এর মানে হলো, ২০১০ সালে মানুষের গড় মজুরি যদি ১০ হাজার টাকা হয়, তাহলে ২০২০-২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৮ হাজার ৮৩০ টাকা। এক যুগে মজুরি বেড়েছে ৮১ শতাংশের মতো। অন্যদিকে বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৫-০৬ সালে মূল্যস্ফীতি সূচক ছিল ১০০, যা প্রতিবছর বাড়তে বাড়তে ২০১০-১১ অর্থবছরে দাঁড়ায় ১৫৬ পয়েন্টে। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সূচক ২৮৮ পয়েন্টে উন্নীত হয়। মূল্যস্ফীতির ভিত্তি পুনর্বিন্যাস করলে দেখা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সূচক যদি ১০০ পয়েন্ট হয়, তাহলে ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৪ পয়েন্টে। অর্থাৎ ২০১০-১১ অর্থবছরে যেখানে জিনিসপত্র কিনতে ১০০ টাকা খরচ হতো, সেখানে তা কিনতে এখন কমপক্ষে ১৮৪ টাকা খরচ হয়। এ সময়ে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে ৮৪ শতাংশ, যা মজুরি বৃদ্ধির (৮১ শতাংশ) চেয়ে কিছুটা বেশি। এর মানে হলো, মানুষের গড় মজুরি যে হারে বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। ফলে মূল্যস্ফীতির বাড়তি চাপ গত এক যুগে মানুষের গড় ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে।

দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী কমপক্ষে চার কোটি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন। তাদের বাঁচাতে প্রয়োজন খাদ্য ও অর্থ। অন্যসব স্ট্যাটিউটরি চাহিদা মিটিয়ে সরকারি গুদাম থেকে বড় আকারে খাদ্য সাহায্য প্রদান সরকারের পক্ষে কঠিন হবে। তাই এসব মানুষের আয় বাড়ানোর দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। বর্তমানে ফ্যামিলি কার্ডে ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলার সঙ্গে চাল দেওয়া যায় কি না তা পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। বন্ধ করতে হবে হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের অপচয়। আর যেটি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, খাদ্য উৎপাদনের প্রবৃদ্ধিহার ঊর্ধ্বমুখী করা। ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, প্রায় এক দশক পর তা দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশে। অর্থমন্ত্রীর ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এর প্রতিফলন দেখা যায়। সার্বিক খাদ্যের প্রবৃদ্ধিহারে উন্নতি হলে খাদ্যশস্যের (চাল, গম) প্রবৃদ্ধিহারেও উন্নতি ঘটবে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছেন। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে না পারলে আগামী দিনে আমাদের আরও বেশি দামে খাদ্যশস্য কিনতে হবে।

আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক খাদ্য সচিব, কলাম লেখক

এইচএন