চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী প্রচারণায় যুবকের ওপর হামলা
Share on:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণায় মাসুদ রানা (৩৫) নামে এক যুবকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আহত অবস্থায় মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যার পর সদরের দশমাইল বাজারে পুলিশ বক্সের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মাসুদ রানা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের হাসানহাটি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ও ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের কর্মী। এ ঘটনায় তার বাবা রমজান আলী বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসন্ন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী হিসেবে মাসুদ রানা কাজ করছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল হোসেনের ৭/৮ জন কর্মী বাঁশের লাঠি সোঠা, কাঠের বাটাম, লোহার রড, রামদা, হাসুয়া এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাসুদ রানার নির্বাচনী কাজে বাধা দেন।
এক পর্যায়ে মাসুদ রানাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো হাসুয়া দিয়ে আঘাত করলে তার ডান চোখের ওপরে লেগে জখম হয়। রামদা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে লক্ষভ্রষ্ট হয়ে পিঠের বামপাশে মারাত্মক জখম হয়। একপর্যায়ে কাঠের বাটাম দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি মারপিট করে। পরে মাসুদ রানা চিৎকারে সবাই এসে জড়ো হলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা মাসুদ রানাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত মাসুদ রানা বলেন, আমি দশমাইল পুলিশ বক্সের নিকট দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় সুজন, সাইদুল, হোসেনসহ কয়েকজন আমাকে জিজ্ঞাসা করে কিসের ভোট করছিস? জবাবে বলি আমি ঘোড়া প্রতীকের ভোট করছি। তারপরই পেছন থেকে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
এ বিষয়ে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, আমার একজন কর্মীকে মারধর করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, মাসুদ রানার ডান হাতের নিচে ধারাল কাঁচি দিয়ে জখম করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া তার ঘাড় ও একটি চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেনের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এনএইচ